1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:১৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

কুরিয়ার সার্ভিসে এলো ভয়ঙ্কর মাদক অক্সি-মরফোন- গ্রেফতার ২

নাগ‌রিক খবর অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২১
  • ২৩৫ বার পঠিত

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের এক‌টি টিম রাজধানীর কোতয়ালি ও ধানমন্ডি থানা এলাকা থেকে ১৩ হাজার পিস অক্সি-মরফোনসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে।

শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) ধারাবাহিক অভিযানে কোতয়ালি থানার বাবুবাজার এলাকা ও সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের ধানমন্ডি শাখায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন- আলমগীর সরকার ও জাহিদুল ইসলাম।

শনিবার (২০ নভেম্বর) ডিবি লালবাগ বিভাগের কোতয়ালি জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. সাইফুর রহমান আজাদ এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, কিছু ব্যক্তি বাবুবাজার এলাকায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ মাদকদ্রব্য অক্সি-মরফোন বিক্রির জন্য অবস্থান করছেন বলে তথ্য পাওয়া যায়। এমন তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় অক্সি-মরফোনসহ আলমগীর ও জাহিদুলকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে দুই হাজার পিস অক্সি-মরফোন উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারদের দেওয়া তথ্যমতে একইদিন রাতে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের ধানমন্ডি শাখায় অভিযান চালিয়ে আরও ১১ হাজার পিস অক্সি-মরফোন উদ্ধার করা হয়।

এডিসি সাইফুর রহমান আজাদ বলেন, অক্সি-মরফোন হলো মরফিনের একটি এনালগ, যা একটি এনালজেসিক ড্রাগ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি ইনজেকশন থেকে ওরাল ফর্মে নিয়ে আসা হয়েছে। এটি মূলত কাজ করে মস্তিষ্কে। তীব্র ব্যথানাশক হিসেবে ক্যান্সার, হার্ট, দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত মৃত্যু পথযাত্রী রোগীর তীব্র ব্যথা কমানোর জন্য এটি ব্যবহার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, অক্সি-মরফোন একটি ইউফোরিক ড্রাগ। যা মস্তিষ্কে প্রচণ্ড আনন্দ অনুভূতি তৈরি করে। শরীরে সাময়িকভাবে দুঃখ-কষ্ট, ব্যাথা ভুলিয়ে দেয়। ব্যাথার সিগনাল গিয়ে মস্তিষ্ককে উত্তেজিত করতে পারে না। মস্তিষ্ক বোধহীন অসাড় হয়ে যায়।

মূলত মাদকসেবীরা অক্সি-মরফোন গুড়ো করে যেকোনো সিরাপ বা পানীয়ের সঙ্গে মিশিয়ে পান করেন। যুব সমাজ বিশেষ করে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে এ মাদকের ব্যাপক ব্যবহার গোয়েন্দাদের নজরে এসেছে।

সাইফুর রহমান আজাদ বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ওষুধ বিক্রি ও বাজারজাত করার অনুমোদন দেয়। যা নির্দিষ্ট কোম্পানির কাছ থেকে লাইসেন্স প্রদর্শন করে।

পরিবহনের রুট প্রদর্শন করে ও কার কাছে বিক্রি করা হবে তা প্রদর্শন করে গ্রহণ এবং বিক্রি করতে হয়। প্রচণ্ড পরিমাণে ভয়ঙ্কর ড্রাগ হওয়ায় কোম্পানিগুলো তাদের প্রচলিত মার্কেটিং চ্যানেল ব্যবহার করে এটা বিক্রি করে। এর অন্য যেকোন ধরনের বিপণন নিষিদ্ধ রয়েছে। তারপরও এতো বিপুল সংখ্যক ড্রাগ আসামিদের কাছে কীভাবে এলো তা তদন্তাধীন রয়েছে।

গ্রেফতাররা ভয়ঙ্কর এই ড্রাগ বিপুল পরিমাণে সংগ্রহ করে মাদকসেবীদের কাছে যত্রতত্র বিক্রি করতেন। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে বলেও জানান গোয়েন্দা পুলিশের এ কর্মকর্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com