বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস রোগ ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ব ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৯১ সালে ১৪ নভেম্বরকে ডায়াবেটিস দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এরপর থেকে প্রতিবছর এ দিনটি বিশ্বব্যাপী পালিত হয়। আজ ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়বেটিস দিবসভ
ডায়বেটিস একটি অনিরাময়যোগ্য রোগ। বিশ্বে ২০১৯ সালে মানুষের মৃত্যুর নবম প্রধান কারণ ছিল ডায়বেটিস। যার কারণে প্রায় ১৫ লাখ মানুষের মৃত্যুর হয়েছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিওএইচও এর মতে, ১৯৮০ সালে বিশ্বে ডায়বেটিস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১০ কোটি আট লাখ, যা ২০১৪ সালে ৪২ কোটি ২০ লাখে পৌঁছেছেআজ ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস।। উন্নত দেশগুলোর তুলনায় মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে এ রোগে আক্রান্তের হার দিন দিন বাড়ছে।
ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ। শরীর যখন পর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপাদন করে না বা শরীর যখন কার্যকরভাবে ইনসুলিন ব্যবহার করতে পারে না তখনই এ রোগ হয়। ইনসুলিন একটি হরমোন, যা রক্তে থাকা শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে। এটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের অনেক সিস্টেম, বিশেষত স্নায়ু এবং রক্তনালীগুলির গুরুতর ক্ষতি করে।
চিকিৎসকদের মতে, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে, বেশি পরিমাণে জাঙ্কফুড খাওয়ার ফলে শরীরে ক্যালোরি এবং ফ্যাটের পরিমাণ বেড়ে গেলে, জিনগত রোগের কারণে ডায়াবেটিসও হতে পারে। এছাড়া শরীরের অতিরিক্ত ওজন এবং ওজন বৃদ্ধিও এ রোগের কারণ।
কোনো বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকার কারণেও ডায়াবেটিস হতে পারে। অতিরিক্ত ধুমপান, ও ভুল ওষুধ সেবনেও এ রোগ হতে পারে।
জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান (নিপোর্ট)-এর একটি জরিপে দেখা যায়, বাংলাদেশে মোট ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এক কোটি ১০ লাখ। এর মধ্যে ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সীদের সংখ্যা ২৬ লাখ আর ৩৫ বছরের বেশি বয়সীদের সংখ্যা ৮৪ লাখ।
এ সম্পর্কে সচেতনতার অভাবে বাংলাদেশে প্রতি বছর অসংখ্য ডায়াবেটিস রোগী হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনি, চোখ ও মাড়ির রোগে আক্রান্ত হন। অনেকে পঙ্গুত্ববরণ করা ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতার শিকার হন, এমনকি অনেকে মারাও যান।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সচেতন ও নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। এ রোগের চিকিৎসায় চিকিৎসকেরা চিনির স্তর নিয়ন্ত্রণে রাখা, রোগীদের যথাযথ খাওয়া এবং ব্যায়াম, যোগের মতো শারীরিক ক্রিয়াকলাপ করার পরামর্শ দেন।
বর্তমানে সারা বিশ্বে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪৬ কোটি। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ২০৩০ সালে এ সংখ্যা ৫৮ কোটিতে পৌঁছাবে।সুত্র:জানি