মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক ড্যানি ফেনস্টারকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিলো মিয়ানমারের একটি সামরিক আদালত। অভিবাসন আইন লঙ্ঘন, সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ভিন্নমতকে উৎসাহিত করা এবং বেআইনি সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার দায়ে অভিযুক্ত হলেন ড্যানি। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১২ নভেম্বর) তার আইনজীবী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
চলতি বছর মে মাসে আটক হন ড্যানি ফেনস্টার। এরপর থেকে কারাগারেই আছেন তিনি। এর আগে স্থানীয় সময় বুধবার (১০ নভেম্বর) তার আইনজীবী থান জাও অং জানান, সন্ত্রাস দমন আইন ও মিয়ানমারের দণ্ডবিধির অধীনে দুটি নতুন ধারায় ‘সন্ত্রাস’ ও ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’র দায়ে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
৩৭ বছর বয়সী এই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে নতুন করে আনা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তার বিচার শুরু হবে আগামী ১৬ নভেম্বর।
ফেনস্টার ইয়াঙ্গুনভিত্তিক ফ্রন্টন্টিয়ার মিয়ানমার নামে একটি অনলাইন নিউজ ম্যাগাজিনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভে উস্কানি দেওয়াসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিচার কার্যক্রম চলছিল।
চলতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি দেশটির গণতান্ত্রিক নেত্রী অং সান সু চির সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে নেন মিন অং হ্লাইং। সেনাবাহিনী ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলনে নামে দেশটির সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। এর পর থেকেই সহিংস ঘটনা ঘটছে দেশটিতে। দেশটির নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে এখন পর্যন্ত প্রাণ গেছে অন্তত ১২শ জনের। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। আটক করা হয়েছে বহু আন্দোলনকারীকে। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ধরপাকড়ের শিকার হয়েছেন সাংবাদিকরাও। রিপোর্টিং আসিয়ান নামের একটি পর্যবেক্ষণ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মিয়ানমারে অন্তত ৩৪ জন গণমাধ্যমকর্মী আটক আছেন। খবর বিবিসির।