কুমিল্লায় র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর বিশেষ অভিযানে ব্রাক্ষণপাড়া এলাকা থেকে মুক্তিপণের টাকাসহ অপহরণকারী চক্রের ৩ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করে র্যাব সদস্যরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লা র্যাব ১১ সিপিসি ২ এর ইনচার্জ অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।
র্যাব সুত্র জানায়, চলতি মাসের ৭ নভেম্বর সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট থানার বগাইয়া গ্রামের ডাঃ আবুল কাশেম এর ছেলে মোঃ ইসমাইল আলী (৩৫) ব্যবসার উদ্দেশ্যে কুমিল্লায় আসে। পরবর্তীতে সে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার কংশনগর বাজারের একটি হোটেলে দুপুরের খাবার খেয়ে যাত্রীছাউনিতে অবস্থান করার সময় অপহরণকারী চক্রের একটি গ্রুপ তাকে জোরপূর্বক সিএনজিতে করে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
অপহরণকারী চক্রটি ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল থেকে ভিকটিমের ভাইকে কল করে তিন লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে তাকে মারধর করে এবং টাকা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
এতে ভিকটিমের পরিবার অপহরণকারীদের চাহিদা মতো ৭ ও ৮ নভেম্বর বিভিন্ন সময়ে তাদের
দেওয়া বিকাশ ও নগদ নম্বরে মোট ২৫,০০০/- (পঁচিশ হাজার) টাকা প্রদান করে। ভিকটিমের পরিবার বিষয়টি ৮ নভেম্বর সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা’কে অবহিত করলে র্যাব বিষয়টি নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে তথ্য-প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল ৮ নভেম্বর বিকালে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানার জিরুইন বটতলা বাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে অপহরণকারী চক্রের ৩ জন সক্রিয় সদস্যকে মুক্তিপণের ৯,৮০০টাকাসহ গ্রেফতার করে র্যাব সদস্যরা। এ সময় অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত অপহরণকারী সদস্যরা হলো
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার বিনাহটি গ্রামের রেনু মিয়ার ছেলে হৃদয় (২৬), ২। কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানার শ্রীরল্লা গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মোঃ সুজন (২৬) এবং ৩। কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানার টাকই রহমতপুর গ্রামের শামসুল হকের ছেলে নূর মোহাম্মদ শরিফ (২৫)। প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত অপহরণকারীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা গুরুত্বপূর্ন তথ্য প্রদান করে অপহরণকারীরা স্বীকার করে যে তারা অপহরণ চক্রের সংঘবদ্ধ সক্রিয় সদস্য।
তারা দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লার বাইরে থেকে বেড়াতে আসা ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে তাদেরকে অপহরণ করে অপহৃতের
পরিবারের নিকট থেকে মোটা অংকের মুক্তিপণ আদায় করে আসছিল বলে স্বীকার করে।