জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারনে বাস ভাড়া পুর্ননির্ধারণ করতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা। রোববার (৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর বনানীর বিআরটিএ কার্যালয়ে এই বৈঠকে বসেন তারা।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির এক নেতা জানান, জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা করে বাড়ানোর প্রতিবাদে সারা দেশে তিন দিন ধরে ধর্মঘট চলছে। তারা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। আর যদি এই বর্ধিতমূল্য প্রত্যাহার করা না হয়, তাহলে বিআরটিএকে বাস ভাড়া বাড়াতে হবে।তিনি বলেন, আশা করি বিআরটিএ ভাড়া বাড়ানোর বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখবে। অন্যথায় তাদের ধর্মঘট চলবে।
গত বুধবার (৩ নভেম্বর) রাতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়। নতুন দাম ভোক্তা পর্যায়ে ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়েছে। যা ওইদিন রাত ১২টা থেকে কার্যকর হয়।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরদিনই পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এরপর শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল ছয়টা থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে শুরু হয় অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট। যা এখনো চলছে। বিশ্বে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশও ডিজেলের দাম প্রতি লিটারে ১৫ টাকা বাড়াতে বাধ্য হয়।