রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাসার সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে খাদিজা আক্তার (২১) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২২ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর রায়েরবাগ গোবিন্দপুর এলাকার একটি বাসার দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে।
অচেতন অবস্থায় ওই গৃহবধূকে তার স্বামী দরজা ভেঙ্গে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত এগারটার সময় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্বামী মাসুক মিয়া বলেন, আমার একটি মোবাইল ফোনের দোকান রয়েছে। আমি দোকান থেকে এসে দেখি বাসার রুমের দরজা বন্ধ। পরে ডাকাডাকি করলে দরজা না খোলায় দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখি ফ্যানের সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ঝুলে আছে আমার স্ত্রী। দ্রুত তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, আমার তিন মাসের একটি সন্তান রয়েছে। কী কারণে সে (খাদিজা) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে, আমি কিছু বলতে পারি না।
তিনি জানান, খাদিজার বাবার বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায়। তার বাবার নাম মকবুল হোসেন। আর আমার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীগঞ্জ উপজেলায়। রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগের গোবিন্দপুরে মামুন নামের এক ব্যক্তির বাসায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতাম।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া গৃহবধুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, যাত্রাবাড়ী থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় এক গৃহবধূকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে আসার কিছুক্ষন পরই তিনি মারা যান। এ ঘটনায় স্বামীকে ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানান পুলিশ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া।