Bবাংলাদেশের জনক শেখ মজিবুর রহমানের খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সম্প্রতি চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এক শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ধন্যবাদ জানিয়ে পাঠানো ফিরতি চিঠিতে রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি পুনরায় উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা অর্পণের পরে সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের একজন কানাডায় আছে এবং আরেকজন যুক্তরাষ্ট্রে আছে এবং তাদের ফেরত আনার জন্য যা যা করার দরকার সেটি করবো।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গত এপ্রিল মাসে একটি শুভেচ্ছাবার্তা পাঠান যেখানে তিনি লিখেছেন যে এ ধরনের নেতা পৃথিবীতে খুব কম দেখা যায় এবং এরপরে প্রধানমন্ত্রী ফিরতি চিঠি পাঠান। পরবর্তীকালে জুন মাসের ১৭ তারিখ যুক্তরাষ্ট্রের এটর্নি জেনারেল রাশেদ চৌধুরীর রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদন মঞ্জুর সংক্রান্ত কাগজপত্র চেয়ে পাঠায় ওই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য।
বঙ্গবন্ধু খুনিদের ফেরত আনার প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রায় প্রতিটি আলোচনায় রাশেদ চৌধুরীর ফেরত আনার প্রসঙ্গ রাখা হয়েছে এবং এতদিন পরে আমরা তাদের অবস্থান পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি।’
বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অনেকবার কথা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন রাজনৈতিক আশ্রয় বাতিল করার জন্য আইনী প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে এবং এটি ভালোভাবে শেষ হওয়ার পরে ফেরত আনার প্রক্রিয়াটি সামনে আসবে।’
গোটা বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের এটর্নি জেনারেলের (একই ব্যক্তি আইনমন্ত্রীও) ওপর নির্ভর করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘১৫ বছর পরে যখন সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনা করা হচ্ছে, আমরা ভালো কিছু আশা করতে পারি।’
উল্লেখ্য ২০০৪ এর ৩১ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন বোর্ড রাশেদ চৌধুরীর রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদন মঞ্জুর করলে এর বিরুদ্ধে আপিল করে ওই দেশের সরকার। ২০০৬ এর ২৯ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রানসিসকো অভিবাসন কোর্ট রাশেদ চৌধুরীর পক্ষে রায় দেয়।