সেপ্টেম্বরের ২৮ তারিখে আদালতে গেলাম,দুদিন পর ৩০ সেপ্টেম্বরও যাওয়া হল । নারাজির আদেশ পেতে রোববার ১০ অক্টোবরও গেলাম আদালত প্রাঙ্গনে। অপহরণের বিচার চাইতে গিয়ে এভাবে কোর্টে বারবার চক্কর দিচ্ছি। এরই মধ্যে দুটি উল্টো মিথ্যা মামলার আসামি হয়ে গেলাম। কোর্টে গেলে ন্যূনতম খরচ তো আছে। মামলার খরচ যোগাতে এরই মধ্যে বেচে দিলাম শখের কম্পিউটার।
কথা গুলো বলছিলেন চট্টগ্রামের সাংবাদিক গোলাম সরওয়ার। তিনি সাপ্তাহিক আজকের সূর্যোদয়ের চট্টগ্রামের নিজস্ব প্রতিবেদক এবং সিটি নিউজ নামের স্থানীয় একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের নির্বাহী সম্পাদক।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর চট্রগামের নগরীর ব্যাটারি গলির বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয়েছিলেন সাংবাদিক গোলাম সারওয়ার। ১ নভেম্বর তাকে সীতাকুণ্ড থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ৪ নভেম্বর বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ছয় আসামির বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন গোলাম সরওয়ার।
ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) ধর্মেন্দু দাশ ৬ মে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তথ্যগত ভুল ও অপহরণের আলামত না পাওয়ার কথা বলা হয় প্রতিবেদনে। ফলে ২৮ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দেন সাংবাদিক সরওয়ারের আইনজীবী।
নারাজির শুনানিতে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তাকে ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজির হতে আদেশ দেওয়া হয়। সেদিন আবারও শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত আদেশ অপেক্ষমাণ রাখেন।
সবশেষ রোববার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমানের আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গোলাম সরওয়ারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আশরাফ উদ্দিন খন্দকার রনি জাগো নিউজকে বলেন, কোতোয়ালি থানার তদন্ত কর্মকর্তা একটি দায়সারা চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছিলেন। আমরা প্রতিবেদনের ওপর নারাজির আবেদন করি। শুনানি শেষে আদালত মামলার সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে আবেদন মঞ্জুর করে মামলাটি পিবিআইকে পুনঃতদন্তের আদেশ দেন।