সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখে বাইক কিনতে গিয়ে বাইকসহ পলায়নের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর চকবাজার মডেল থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো মোঃ শাওন, মোঃ আসাদুজ্জামান শেখ, রবিন শেখ, আলমগীর হোসেন ওরফে মিল্লাত ও একজন কিশোর হওয়ায় নাম প্রকাশ করা হলো না।
তাদেরকে ৫ অক্টোবর থেকে ৭ অক্টোবর, ২০২১ ধারাবাহিক অভিযানে ঢাকার বনশ্রী, কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় চুরি যাওয়া মোটর সাইকেলটিও উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
চকবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবদুল কাইউম জানান, মামলার বাদী এক যুবক গত ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ একটি সুজুকি জিকসার সিঙ্গেল ডিক্স বাইক বিক্রির জন্য সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেন। বিজ্ঞাপনের সূত্র ধরে ১৬ সেপ্টেম্বর শাওন নামের এক যুবক চকবাজারের নবকুমার ইনস্টিটিউট এর মাঠে উক্ত বাইকটি ক্রয়ের জন্য আসে। তখন শাওন বাইকটি চালিয়ে চেক করে নেয়ার জন্য বলে এবং এক পর্যায়ে বাইকসহ পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৪ অক্টোবর, ২০২১ বাইকের মালিকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে চকবাজার থানায় একটি মামলা হয়।
ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও আসামীদের গ্রেফতার সম্পর্কে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মামলাটির দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া বিজ্ঞাপনের সূত্র ধরে এগোতে থাকি। এরপর বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ৫ অক্টোবর রাত ১২:৪৫ টায় বনশ্রী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় শাওন নামের এক যুবককে, যে বাইক নিয়ে পালিয়েছিল। তার দেয়া তথ্যমতে ওই রাতেই গ্রেফতার করা হয় পিতাপুত্র আসাদুজ্জামান শেখ ও রবিন শেখকে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তারা চুরি করা বাইকটি তেষট্টি হাজার টাকায় কিশোরগঞ্জের মিল্লাত নামের একজনের নিকট বিক্রি করেছে। এরপর অভিযান চালিয়ে কিশোরগঞ্জের কুলিয়াচর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় আলমগীর হোসেন ওরফে মিল্লাতকে। কিন্তু তার কাছেও বাইকটি পাওয়া যায়না।
মিল্লাতকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, বাইকটি সাতাশি হাজার টাকায় নরসিংদীর এক ছেলের কাছে বিক্রি করেছে। পরবর্তী সময়ে ৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বেলা ১২:৪৫ টায় নরসিংদীর চিনিশপুর জামতলা থেকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়া হয় ওই কিশোরকে। আর তার হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয় চুরি যাওয়া সুজিকি বাইকটি বলেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।