হঠাৎ বিমান বন্দর গোলচত্ত্বরে প্রসব বেদনায় দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন রুনা বেগম নামে এক নারী। বুঝে উঠতে পারছিলেন না কী করবেন। অতঃপর ট্রাফিক পুলিশের সাহায্য নিয়ে তার কোল জুড়ে আসে ফুটফুটে এক কন্যা সন্তান।
এ বিষয়ে ট্রাফিক উত্তরা বিভাগের এসি ট্রাফিক এয়ারপোর্ট মোঃ আব্দুল্লাহ বলেন, আজ মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রুনা বেগম নামের এক নারী একা জামালপুরে তার শশুরবাড়ি থেকে নিজ বাড়ি শরীয়তপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন। ঐদিন বিকাল ৪:১৫টায় বিমানবন্দর গোলচত্ত্বরে আসার পরে তার প্রসব বেদনা উঠে। বিমানবন্দর গোলচত্ত্বরে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সাহায্য চান।
তার ডাকে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসেন বিমানবন্দর গোলচত্ত্বরে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ। পরবর্তীতে একজন মহিলা পথচারী লাকী আক্তারের সহায়তায় শালীনতা বজায় রেখে বিমানবন্দর গোলচত্ত্বরে ট্রাফিক পুলিশ বক্সের পার্শ্বের রুমে রুনাকে নেওয়া হয়। এরপর বিকাল ৪:৩০টায় তার কোল জুড়ে আসে ফুটফুটে এক কন্যা সন্তান।
তিনি আরো বলেন, পরে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে রুনা বেগমের স্বামীর মামা ও মামী আসে। পরবর্তীতে রুনা বেগমকে তাদের সাথে এ্যাম্বুলেন্সযোগে উত্তরা ১ নং সেক্টরের মহিলা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়।মা ও নবজাতক সুস্থ আছেন মর্মে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।