1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কু‌মিল্লায় কো‌টির টাকার ভারতীয় আতশ বা‌জি উদ্ধার ক‌রে বি‌জি‌বি চট্রগ্রা‌মে নারী কর্মকর্তাকে চেয়ার ছুড়ে মারা যুবদল নেতা গ্রেফতার রাজধানীর উত্তরায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেলো গুলি রংপু‌রে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার ৩ সাংবাদিক নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় ছাত্রদল কর্মীকে ছুরিঘাতে হত্যা উ‌খিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের গোলাগুলি , নিহত ১ ধর্ষক‌দের দ্রুত গ্রেফতা‌রের দাবী‌তে মহাসড়ক অব‌রোধ ক‌রে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ব‌বিদ্যাল‌য়ের শিক্ষার্থীরা কু‌মিল্লার ১৭ উপ‌জেলায় ১১ জন নারী ইউএনও কর্মরত ১৪ নং ওয়ার্ডে সেচ্ছাসেবক দলের ইফতারের আয়োজন কু‌মিল্লা দেবীদ্বারে অজ্ঞাত নারীর লাশের প‌রিচয় পাওয়া গে‌ছে

বি‌য়ে ক‌রে বি‌দে‌শে নারী পাচারকারী লিটন গ্রেফতার

নাগরিক অনলাইন ডেস্কঃ
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ২৮২ বার পঠিত

এইচএসসি পাস করে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চাকরি করতেন লিটন মিয়া। অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে সেখান থেকে চাকরিচ্যুত হন। চলে যান ইরাকে সেখা‌নে একটি হাসপাতালে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি করেন বলে নিজেকে পরিচয় দিতেন। এ পরিচয়ে দেশে বিয়ে করেছেন ছয়টি। বিয়ের পর এসব নারীকে ইরাকে নিয়ে যেতেন। এরপর সেখানে নিয়ে তাদের বিক্রি করে দিতেন। বিয়ের পর এখন পর্যন্ত পাঁচ নারীকে দেশটিতে পাচার করেছেন তিনি।

শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর উত্তরা ও মিরপুরে অভিযান চালিয়ে নারী পাচারকারী সিন্ডিকেটের মূলহোতা লিটন মিয়াসহ তার আরেক সহযোগী আজাদকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি বিলাসবহুল প্রাইভেটকার, বিয়ার, দেশি-বিদেশি জাল টাকা, পাসপোর্ট ও বিভিন্ন সিল।

র‌্যাব দাবি করছে, গ্রেফতার দুজন সংঘবদ্ধ মানবপাচার চক্রের সদস্য। বিশেষ করে বিউটিপার্লারে কাজ জানা নারী ও নার্সিং পেশায় নিয়োজিত নারীদের পাচার করেন তিনি। সেখানে সুপারশপে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তারা নারীদের পাচার করতেন। ইরাক, দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে নিয়ে জিম্মি করে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করতেন। এসব দেশে তাদের একাধিক সেফ হাউস রয়েছে। এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক নারী-পুরুষকে তারা পাচার করেছেন বলে দাবি করেছে র‌্যাব।

শনিবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে নিয়ে যাওয়ার পর সুযোগ বুঝে নারীদের বিক্রি করে দেওয়া হতো। চক্রের ১০ সদস্যের মধ্যে সাতজন ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যে আর বাকিরা দেশে এই কাজ করছিল। তিন থেকে চার লাখ টাকার বিনিময়ে এসব নারীকে চাকরির আশ্বাস দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে নিয়ে যাওয়া হতো। মানবপাচারের প্রথম ধাপে ট্যুরিস্ট ভিসায় দুবাই এরপর ভিজিট ভিসার মাধ্যমে ইরাকে নেওয়া হতো। চক্রটি ৩০-৪০ জন নারীকে পাচার করেছে।

র‌্যাব বলছে, ১৯৯২ সালে ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে এইচএসসি পাস করেন লিটন মিয়া। এরপর সরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে মেডিকেল অ্যাসিস্টেন্ট হিসেবে চাকরি শুরু করেন। মিথ্যা প্ররোচনা ও অনৈতিক কাজের জন্য সেখান থেকে তার চাকরি চলে যায়। এরপর লিটন ইরাকে যান। এসময় নিজেকে ইরাকের বাগদাদে একটি স্বনামধন্য হাসপাতালে চাকরি করতেন বলে পরিচয় দিতেন। পরে কয়েকজন মিলে ইরাকে নারীপাচার সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন।

গ্রেফতার লিটন নারীদের প্রথমে ইরাকে মেডিকেল চাকরির প্রলোভন দেখাতেন। এভাবে সখ্য গড়ে বিয়ের প্রলোভন দেখান এবং পাঁচ-ছয়জনকে বিয়ে করেন। অনেককে টেলিফোনে কিংবা সরাসরি দেশে এসে বিয়ে করেছেন। লিটন ২০১৩ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ইতালিতে ছিলেন। এই সময়ই তিনি বিয়েগুলো করেন। এসব বিয়ে লিটন পাচারের উদ্দেশ্যে করেন বলে দাবি র‌্যাবের।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সর্বশেষ পাচার হওয়া এক নারী র‌্যাবকে জানিয়েছে, তিনি ইরাকে সেফ হাউসে থাকাকালে সেখানে ১৫-২০ জনকে দেখেছেন। সেফ হাউস থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর এই নারী ইরাকের একটি হাসপাতালে চাকরি করতেন। পরে সেখান থেকে পালিয়ে দেশে ফিরে আসেন। গ্রেফতার লিটন মিয়া ২০১৯ সালের পর আর ইরাকে যেতে পারেননি। পরে দেশেই বালু ব্যবসাসহ সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন।

র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার আজাদ দেশেই সিন্ডিকেটটির প্রতারণার বিষয়টি দেখতেন। দেশে তার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই এসব নারী-পুরুষকে পাচার করা হয়। তিনি পাসপোর্ট প্রস্তুত, টাকা নেওয়া, টিকিট কেটে দেওয়াসহ বিভিন্ন বিষয় দেখভাল করতেন।সুত্র:জা‌নি

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com