প্রবাসী ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি মহোদয়ের এপিএস পরিচয়ে ভূয়া ফেইসবুক আইডি খুলে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে স্বামী-স্ত্রী দুইজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর গোয়েন্দা সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো আতিক হোসেন ওরফে জয় ও মোসাঃ মলি আক্তার ওরফে শান্তা চৌধুরী। তারা উভয়ে স্বামী-স্ত্রী।
গত ৩০ আগস্ট, ২০২১ সোমবার রাত ১০:২০ টায় রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়ার ডাবতলা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে ডিবি সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট, ২০২১) দুপুরে ডিএমপি গোয়েন্দা কার্যালয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ও ডিবি-উত্তর) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, বিপিএম-বার, পিপিএম-বার।
ডিবির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বলেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ইমরান আহমদ (এমপি) মহোদয়ের সহকারী একান্ত সচিব মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে santa chowdhury ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট দেখতে পান যে, “ধন্যবাদ জানাই মাননীয় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপিকে। আমাকে ২ বছরের জন্য APS হিসেবে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার জন্য”। এ পোস্টের বিষয়টি মাননীয় মন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হয়। প্রকৃত পক্ষে, শান্তা চৌধুরী নামের কাউকে মাননীয় মন্ত্রী চিনেন না এবং তার এপিএস হিসেবে নিয়োগও দেননি। উক্ত আইডি হতে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের এপিএস পরিচয় দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে বিভিন্ন লোকজনের নিকট হতে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন অংকের টাকা দাবি করে। এ ঘটনায় মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের সহকারী একান্ত সচিব মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
তিনি আরও বলেন, উক্ত মামলা তদন্তকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম পিপিএম সেবা বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে রাজশাহী থেকে আতিক ও শান্তাকে গ্রেফতার করে। তারা পরস্পর স্বামী-স্ত্রী।
তাদের নিকট থেকে উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোন পর্যালোচনা ও জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা তথ্য প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পর্কে পারদর্শী। তারা প্রতারণার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ফেইক ফেসবুক একাউন্ট খুলে নিজেদের মাননীয় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর এপিএস দাবি করে। চাকুরী দেওয়ার প্রলোভনে বিভিন্ন লোকজনের নিকট মোটা অংকের টাকা চায় এবং তাদের মোবাইলে অসংখ্য ফেইক ফেসবুক একাউন্ট পাওয়া যায়। এসব ফেইক আইডি দিয়ে তারা বিদেশ যেতে ইচ্ছুক আগ্রহী প্রার্থীদের টার্গেট করতো। এ ধরণের প্রতারণা করে তারা লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান।