আফগানিস্তানে নারীদের সাময়িকভাবে কর্মস্থলে যেতে নিষেধ করেছে তালেবান। তারা বলছে, আফগান নারীদের বর্তমানে কাজে যেতে হবে না, তাঁরা বাড়িতে বসেই বেতন পাবেন। এছাড়া তাদেরকে চাকরি থেকেও বাদ দেওয়া হবে না। তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। খবর বিবিসির।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতির কারণে নারীদের এখন বাড়িতে থাকা উচিত। নারীদের কর্মস্থলে যোগদানে স্থায়ীভাবে বাধা দেওয়া হবে না। তারা যাতে কাজে ফিরতে পারেন, সেই প্রক্রিয়া ঠিক করার চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ।’
তিনি আরও বলেন, ‘নারীদের চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হবে না এবং তাদের বেতন পরিশোধ করা হবে।’
বিবিসির কাছে ইতোমধ্য কয়েকজন নারী তাদের চাকরি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছেন। বর্ননা করেছেন তাদের কর্মস্থলে উপস্থিতির বিষয়টিও। কেউ কেউ বলছেন তাদের (নারীদের) চাকরির পরিবর্তে পুরুষ আত্মীয়রা চাকরি করতে চান।
এদিকে আফগানিস্তানের ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার ও শিক্ষাবিদদের প্রতি দেশ ছেড়ে না যাওয়ার অনুরোধ করেছে তালেবান। ঐ সংবাদ সম্মেলনে এ অনুরোধ করেন তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ।
একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রকে হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আফগানবাসীকে দেশ-ছাড়ার উসকানি দেওয়া বন্ধ করতে হবে। তারা যেন দেশ ছেড়ে চলে যাওয়াটা বন্ধ করেন। যুক্তরাষ্ট্র যেন আফগানিস্তানের ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ও শিক্ষাবিদসহ দক্ষ মানুষগুলোকে দেশ ছেড়ে যেতে উসকানি না দেয়।
এছাড়া আফগান নাগরিকদের আর কাবুল বিমানবন্দর যেতে অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে তালেবান। কাবুল বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির কারণে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বলে জানায় গোষ্ঠীটি।
তিনি বলেন, বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাদের বাড়ি ফিরে যাওয়া উচিত এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। তিনি অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্র আফগানদের বিমানবন্দরে যেতে আমন্ত্রণ করছে।
তিনি বলেন, আমরা আমেরিকানদের বলতে চাই, কোনো আফগানকে দেশ ছেড়ে যেতে উৎসাহ দেবেন না। তাদের প্রতিভা আমাদের দরকার।
সংবাদ সম্মেলনে তালেবান মুখপাত্র জানান, আফগান মিডিয়া, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পুনরায় খুলে দেওয়া হবে এবং স্থানীয় সরকারের কাজ পুনরায় চালু হবে। সূত্র : বিবিসি