ইসমাইল সাবরি ইয়াকোব মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন। তিনি দেশটির বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড মালয়েজ ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (ইউএমএনওর)নেতা। তাকে শুক্রবার এ পদে নিয়োগ দেন মালয়েশিয়ার রাজা আল সুলতান আব্দুল্লাহ।
রাজধানী কুয়ালালামপুরের রাজপ্রাসাদে শনিবার সাবরি শপথ নেন। বৃহস্পতিবারেই পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পর পরবর্তী সরকার গঠনের অপেক্ষায় ছিলেন সাবরি। যে জোট সরকারের সোমবার পতন হয়েছে, সেই সরকারের এমপিদেরই সমর্থন পেয়েছেন তিনি।
এর আগে ১৬ আগস্ট রাজার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী মহিউদ্দিন ইয়াসিন। তার মন্ত্রিসভারও পতন ঘটে। এতদিন মালয়েশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন ইসমাইল সাবরি ইয়াকোব।
মালয়েশিয়ার রাজার দপ্তর জানিয়েছে, পার্লামেন্ট দেওয়ান রাকাইতে আয়োজিত আস্থাভোটে ২২২ জন আইনপ্রণেতার মধ্যে ১১৪ জন ইসমাইল সাবরি ইয়াকোবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। রাজপ্রাসাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবিলম্বে রাজনৈতিক সংকটের সমাপ্তি হবে এবং পার্লামেন্ট সদস্যরা তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডাকে এক পাশে রাখবে বলে রাজা আশা করেন। এ সময় মানুষের ঘাড়ে আর অনির্দিষ্টকালের রাজনৈতিক সংকটের বোঝা চাপানো উচিত হবে না। মালয়েশিয়ায় কোভিড-১৯ মহামারি এবং অর্থনৈতিক দুর্দশা সামাল দেওয়া নিয়ে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জনরোষ বাড়তে থাকার এই সময়ে দেশের শাসনক্ষমতায় এলেন সাবরি। এর আগে তার পূর্বসূরি মহিউদ্দিন ইয়াসিনকে মাত্র ১৭ মাসের নড়বড়ে সরকার নিয়েই কোভিড সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি আর অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় লড়তে হয়েছে। তারপরও আস্থাভোটে টিকে থাকার সব ধরনের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ১৩ আগস্ট মহিউদ্দিন ইয়াসিন প্রথমবার স্বীকার করেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনপ্রণেতার সমর্থন তার পক্ষে নেই।
এখন তার জায়গায় নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ইসমাইল সাবরির নিয়োগ নিশ্চিত হওয়ায় তিন বছর পর আবারও মালয়েশিয়ার শাসনক্ষমতায় এলো ইউনাইটেড মালয়স ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (ইউএমএনও) পার্টি, যাকে বলা হয় মালয়েশিয়ার ‘প্রাচীনতম দল’।
২০২০ সালে একইভাবে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও মালয়েশিয়ান ইউনাইটেড ইনডিজেনাস পার্টির (এমইউআইপি) নেতা মহিউদ্দিন ইয়াসিন। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর তিন বছরে এবার নিয়ে তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী পেল মালয়েশিয়া। খবর: এএফপি।