প্রতিটি বাসা বাড়িতেই কমবেশি মাছির উপদ্রব থাকেই। মাছি যে শুধু বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তা নয় বরং এর চেয়েও বেশি ক্ষতি করে আমাদের স্বাস্থ্যের। মাছি সহজেই খাবারের উপর বসে থাকে, ফলে খাবারে মাছি বসলে নানান রোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। মাছি ব্যাকটেরিয়া এবং নানা ক্ষতিকর জীবাণু বহন করে থাকে। ময়লা, আবর্জনা, নর্দমা, মল-মূত্র ইত্যাদি বিভিন্ন নোংরা স্থানে মাছি বসে থাকে।
বাড়ী ঘর থেকে মাছি দূর করার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হল পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখা। রোগ, জীবাণু বহনকারী এই পতঙ্গের উৎপাত থেকে মুক্তির আরও কিছু কৌশল আছে। জেনে নিন।
** শাক-সবজি, ফল ভালোভাবে ধুয়ে রাখুন। খাওয়া বা রান্নার আগে দু-তিনবার ধুয়ে নিতে হবে। নষ্ট হয়ে যাওয়া শাক-সবজি দ্রুত ফেলে দিতে হবে।
** ঘরে বেশি পাকা ফল থাকলে; তা দ্রুত খেয়ে ফেলুন। সামান্য পচন ধরলেও বাড়িতে না-রেখে তা ফেলে দিন। অধিক পাকা ফল মাছিদের সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করে।
** বাড়ির বাইরে আবর্জনার স্তূপ থাকলে তা ঢেকে রাখুন। ঘন ঘন আবর্জনা সরিয়ে ফেললে মাছির উপদ্রব কমে যায়। মাছি এই আবর্জনার স্তূপেই ডিম পাড়ে। তাই আবর্জনা জমতে না-দেওয়াই ভালো।
রান্নাঘর পরিষ্কার রাখুন। ফ্রিজের নীচে ও এর আশপাশে পরিষ্কার রাখুন। রান্নাঘরে গ্যাস ও ওভেন পরিষ্কার রাখুন।
** বাসন মাজার ভেজা স্পঞ্জ, ঘর মোছার কাপড়, রান্নাঘর থেকে দূরে রাখুন। ফলের রস বা কৃত্রিম রং ও গন্ধযুক্ত খাবারের পাত্র সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে নিন।
** মশাকে ফাঁদে ফেলতে একটি গ্লাসে সামান্য আপেল সিডার ভিনেগার নিন। এরপর গ্লাসের মুখটি সেলোফেন পেপার দিয়ে মুড়িয়ে দিন। এবার একটি টুথপিক দিয়ে সেলোফেন পেপারের মাঝে একটি ছিদ্র করুন। এমন একটি ছিদ্র করুন যার মধ্য দিয়ে মাছি ঢুকতে পারবে ঠিকই কিন্তু বের হতে পারবে না। ভিনেগারের মিষ্টি গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে ভিতরে ঢুকে আটকে যাবে মাছি। যে স্থানে সবচেয়ে বেশি মাছির আনাগোনা লেগে থাকে, সেখানে এটি রাখুন।
মাছি দূর করা ও মেরে ফেলার অন্যতম কার্যকর উপায় হলো কাগজের চোঙা। একটি লম্বা জলের পাত্র বা ফুলদানিতে যেকোনো তরল পদার্থ ভরে নিন। এরপর কাগজ দিয়ে চোঙা বানিয়ে ওই পাত্রে রাখুন। তরল পদার্থের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে মাছি কাগজের চোঙা দিয়ে ভিতরে ঢুকবে। তবে বেরিয়ে আসতে পারবে না। মাছি বংশবিস্তারের স্থানে এমন ফাঁদ পাতুন।