তুলসী একটি ঔষধি গাছের নাম। সবুজ রঙের গুল্মজাতীয় একটি উপকারী উদ্ভিদ এটি। সর্দি, কাশি, কৃমি ও বায়ুনাশক এবং মূত্রকর, হজমকারক ও এন্টিসেপটিক হিসেবে ব্যবহৃত হয় তুলসী পাতা। বিশেষ করে কফের প্রাধান্যে যেসব রোগ সৃষ্টি হয়, সে ক্ষেত্রে তুলসী বেশ ফলদায়ক। জেনে নেওয়া যাক, তুলসী পাতার নানা গুণ।
সর্দি-কাশির মহাষৌধ: শিশুদের সর্দি-কাশির জন্য তুলসী পাতা মহাষৌধ হলেও যেকোনো বয়সের মানুষই এ থেকে উপকার পেয়ে থাকে। শিশুর সর্দি-কাশি থাকলে শিশুকে আদা চা চামচ মধু এবং তুলসী পাতার রস খাওয়ালে কাশি কিছুটা কমবে।
মাথা ব্যাথা: মাথা ব্যাথা ও শরীর ব্যাথা কমাতে তুলসী খুবই উপকারী। এর বিশেষ উপাদান মাংশপেশীর খিচুনী রোধ করতে সহায়তা করে।
বয়স রোধ করা: তুলসী পাতার ভিটামিন সি, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস ও এসেন্সিয়াল অয়েলগুলো চমৎকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের হিসেবে কাজ করে; যা বয়সজনিত সমস্যা কমায়। তুলসী পাতাকে যৌবন ধরে রাখার টনিকও মনে করেন কেউ কেউ।
রোগ নিরাময় ক্ষমতা: তুলসীকে নার্ভের টনিক বলা হয় এবং এটা স্মরণশক্তি বাড়ানোর জন্য বেশ উপকারী। এটি শ্বাসনালী থেকে শ্লেষ্মাঘটিত সমস্যা দূর করে। তুলসী পাতা পাকস্থলীর ও কিডনীর স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
পোকার কামড়: তুলসী পাতা হলো প্রোফাইল্যাক্টিভ যা, পোকামাকড় কামড় দিলে উপসম করতে সক্ষম। পোকার কামড়ে আক্রান্ত স্থানে তুলসী পাতার তাজা রস লাগিয়ে রাখলেকামড়ের ব্যথা ও জ্বলা থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যায়।
ত্বকের সমস্যা: তুলসী পাতার রস ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। তুলসী পাতা বেটে সারা মুখে লাগিয়ে রাখলে ত্বক সুন্দর ও মসৃণ হয়। এছাড়াও তিল তেলের মধ্যে তুলসী পাতা ফেলে হালকা গরম করে ত্বকে লাগালে ত্বকের যেকোনো সমস্যায় বেশ উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া ত্বকের কোনো অংশ পুড়ে গেলে তুলসীর রস এবং নারকেলের তেল ফেটিয়ে লাগালে জ্বালা কমবে এবং সেখানে কোনো দাগ থাকবে না ৷
মানসিক চাপ: তুলসীর ভিটামিন সি ও অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে। এই উপাদানগুলো নার্ভকে শান্ত করে। এছাড়াও তুলসী পাতার রস শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
নিয়মিত তুলসী পাতার রস খেলে রোগ-বালাই থাকবে অনেক দূরে। তাই সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন অন্তত একটি করে তুলসী পাতা খান। আর নিয়মিত তুলসী পাতা পেতে ঘরের বারান্দা একটু আলো বাতাস আসলে সেখানে কিংবা বাড়ির উঠোনে একটি তুলসী গাছ লাগিয়ে দিতে পারেন।