1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
রানা, ও মেহেবুব হোসেন রিপনের নেতৃত্বে এক বিশাল র‍্যালি গোপালগ‌ঞ্জে দিনমুজুর‌কে হত্যা মামলায় গ্রেফতার, নবজাতক দুই বোন নিয়ে দিশেহারা ছোট ভাই শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ কর‌তে হ‌বে, না করলে প্রশাসক নিয়োগ হ‌বে- সাখাওয়াত বাংলাদেশ থেকে জাপানি সৈন্যদের দেহাবশেষ ফিরিয়ে নিবে আজারবাইজানে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় সিপিজের খোলা চিঠি ড. ইউনুসকে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম গ্রেফতার শপথ নিলেন নতুন তিন উপদেষ্টা কু‌মিল্লায় ডাকাতির নাটক সাজিয়ে প্রতিবন্ধী ভাতিজাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা ক‌রে চাচা রাজধানীর কাকরাইলে সভা সমা‌বেশ নি‌ষিদ্ধ

বি‌শ্বে স্ব‌র্ণের বাজা‌রে নতুন রেকর্ড

নিজস্ব প্রতি‌বেদক:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৭ জুলাই, ২০২০
  • ২৯০ বার পঠিত
স্ব‌র্ণের স‌র্ব্বোচ দাম নতুন রেকর্ড

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে পোঁছে গেছে মূল্যবান এ ধাতুটি।

চলতি বছরের শুরু থেকেই বিশ্ববাজারে উত্তাপ ছড়াচ্ছে স্বর্ণের দাম। তবে গত সপ্তাহ থেকে যেন পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটছে ধাতুটির দাম। এতেই সর্বোচ্চ দামের নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয়ে গেল।

আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ হয় আউন্স হিসেবে। এক আউন্স স্বর্ণ ৩১ দশমিক ১০৩ গ্রামের সমান। এখন বিশ্ববাজারে এক আউন্স স্বর্ণ কিনতে এক হাজার ৯২০ ডলারের উপরে লাগছে। অতীতে কখনও এত দামে স্বর্ণ বিক্রি হয়নি।

স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করতে চলতি বছরে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৪০০ ডলারের উপরে বা ২৬ শতাংশ। বছরের শুরুর দিকে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল এক হাজার ৫১৭ ডলার। সোমবার (২৭ জুলাই) আন্তর্জাতিক বাজারে লেনদেন শুরু হতেই তা এক হাজার ৯৩১ ডলার স্পর্শ করেছে।

এর আগে, কখনো এক আউন্স স্বর্ণের দাম এক হাজার ৯৩১ ডলার স্পর্শ করেনি। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম এক হাজার ৯২০ ডলারে উঠেছিল। এটাই এতদিন বিশ্ববাজারে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম ছিল।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহের শুরুতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল এক হাজার ৮০৮ ডলার। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস সোমবার তা বেড়ে এক হাজার ৮২০ ডলার স্পর্শ করে।

মঙ্গলবার তা আরো বেড়ে এক হাজার ৮৪২ ডলারে উঠে। সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস বুধবার লেনদেনের এক পর্যায়ে এক হাজার ৮৬৫ ডলার পর্যন্ত উঠে স্বর্ণের দাম। এর মাধ্যমে ২০১১ সালের পর স্বর্ণের দাম আবারো এক হাজার ৮৫০ ডলার স্পর্শ করে।

স্বর্ণের দামের উল্লম্ফন চলে গত সপ্তাহের শেষ দুই কার্যদিবসেও। বৃহস্পতিবার দাম বেড়ে লেনদেনের এক পর্যায়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম এক হাজার ৮৯৫ ডলার পর্যন্ত পৌঁছে যায়। যদিও দিনের লেনদেন শেষে এক হাজার ৮৮৭ ডলারে থিতু হয়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শুক্রবার দাম আরও বেড়ে এক হাজার ৯০১ ডলারে দাঁড়ায়।

সেখান থেকে চলতি সপ্তাহের লেনদেন শুরু হতেই প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম এক হাজার ৯৩১ ডলারে উঠে গেছে। আজ ইতোমধ্যেই প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৩০ ডলার। এর মাধ্যমে সপ্তাহের ব্যবধানে ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং মাসের ব্যবধানে ৮ দশমিক ২৩ শতাংশ বাড়ল স্বর্ণের দাম।

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের এমন দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে বাংলাদেশেও দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। গত শুক্রবার থেকে স্বর্ণের বাড়তি দাম কার্যকর হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৯১৬ টাকা বাড়িয়ে ৭২ হাজার ৭৮৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৬৯ হাজার ৬৩৪ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৬০ হাজার ৮৮৬ টাকা। সনাতন পদ্ধতিতে স্বর্ণের দাম ৫০ হাজার ৫৬৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের ইতিহাসে স্বর্ণের দাম আগে কখনও এত ছিল না।

এদিকে বাজুস যখন দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় তখন বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল এক হাজার ৮৮৯ ডলার। অর্থাৎ বাজুসের দাম বাড়ানোর ঘোষণা আসার পর ইতোমধ্যে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ৩৪ ডলার বেড়ে গেছে।

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ার বিষয়ে সম্প্রতি ভেনাস জুয়েলার্সের কর্ণধার ও স্বর্ণ শিল্পী সমিতির সভাপতি গঙ্গা চরণ মালাকার বলেন, ২০১১ সাল ছাড়া স্বর্ণের এমন দাম বাড়ার প্রবণতা কখনও দেখা যায়নি। শেয়ারবাজারে মন্দার কারণে আন্তর্জাতিক গেম্বলাররা (জুয়াড়ি) স্বর্ণ কিনে মজুত করছেন। এ কারণে স্বর্ণের এমন দাম বাড়ছে।

তিনি বলেন, স্বর্ণের দাম বাড়লেও আমাদের বিক্রি নেই। আমাদের দেশে স্বর্ণালংকার বেশি ব্যবহার করেন মধ্যবিত্তরা। করোনার কারণে এই মধ্যবিত্ত এখন বড় সমস্যায় পড়েছেন। তাছাড়া বয়স্করা এখন ঘর থেকে বের হচ্ছে না। সবমিলিয়ে আমাদের বিক্রি শূন্যের কোঠায় নেমেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com