জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে ধর্ষককে পুলিশে ধরিয়ে দিল চট্টগ্রামের এক কিশোরী।৯৯৯ থেকে সংবাদ পেয়ে সোমবার (১২ জুলাই) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা থেকে অভিযুক্ত মো. জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করেছে ডবলমুড়িং থানার পুলিশ।
ডবলমুরিং থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহসীন নাগরিক খবরকে জানান, ভিকটিম ১৪ বছরের কিশোরী। স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গ্রেফতারকৃত জাহাঙ্গীর প্রায়ই ভিকটিমকে বিরক্ত করতো, কথা বলতে চাইতো। কিন্তু ভিকটিম তাকে গুরুত্ব দিত না। একদিন কেউ না থাকার সুযোগে জাহাঙ্গীর বাসায় চলে আসে। এসময় ভিকটিম চিৎকারের চেষ্টা করলে জাহাঙ্গীর তাকে কিছু অশ্লীল ছবি দেখায়। মূলত ভিকটিমের ছবি এডিট করে জাহাঙ্গীরই এই অশ্লীল ছবি বানায়। এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ১৪ বছরের সেই কিশোরীকে ধর্ষণ করে।
তিনি বলেন, এ ঘটনার পরপরই ভিকটিম তার মোবাইল বন্ধ করে দেয়। কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে ঘটনা কাউকেই কিছু বলেনি। তার কিছুদিন পর আবারও জাহাঙ্গীর আসে। কিন্তু তাকে দরজায় আসতে দেখেই ভিকটিম মরিচের গুঁড়া নিয়ে তার চোখে মুখে ছিটিয়ে দেয় এবং সেদিনের মত নিজেকে রক্ষা করে। এরপর জাহাঙ্গীর আরও একবার আসে। ভিকটিম একই কায়দায় মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে নিজেকে রক্ষা করে। মরিচের গুঁড়ার ভয়ে কাছে ঘেঁষতে না পারায় জাহাঙ্গীর অন্যভাবে কিশোরীকে ঘায়েল করার চেষ্টা করে। টিভিতে দেখে ও নানাভাবে জেনে ৯৯৯ এর প্রতি আস্থা তৈরি হয় কিশোরীর। নিরুপায় হয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে অভিযোগ জানায় সে। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করে।
ভিকটিমের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতারকৃত জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ডবলমুরিং থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।