নয় বছর পর উয়েফা ইউরোর সেমিফাইনালে উঠেছে ইতালি। শুক্রবার (২ জুলাই) দিবাগত রাতে ইউরো-২০২০ এর দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামকে ২-১ গোলে হারিয়ে শেষ চার নিশ্চিত করে রবার্তো মানচিনির শিষ্যরা।
এর আগে সবশেষ ২০১২ সালে সেমিফাইনালে উঠেছিল তারা। সেবার অবশ্য ফাইনালও খেলেছিল। কিন্তু স্পেনের কাছে হেরে রানার্স-আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। এরপর ২০১৬ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল তাদের।
জার্মানির মিউনিখের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় বেলজিয়ামের বিপক্ষে ম্যাচের ১৩ মিনিটেই জালের নাগাল পেয়েছিল ইতালি। কিন্তু অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়।
৩১ মিনিটের মাথায় লিড নেয় আজ্জুরিরা। এ সময় সেট পিচ থেকে বেলজিয়ামের দুইজন রক্ষণভাগের খেলোয়াড়কে বোকা বানিয়ে ডান পায়ের শটে গোল করেন নিকোলো বারেলা। ৪৪ মিনিটের মাথায় ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লরেঞ্জে ইনসিগনি। এ সময় বারেলার কাছ থেকে বক্সের বাইরে বল পেয়ে যান ইনসিগনি। সেখান থেকেই ডান পায়ে শট নেন। তার নেওয়া শট গোলপোস্টের ডান কোণার ওপরের অংশ দিয়ে জালে জড়ায়।
অবশ্য বিরতিতে যাওয়ার আগে একটি গোল শোধ দেয় বেলজিয়াম। যোগ করা সময়ে (৪৫+২) ইতালির জিওভানি ডি লরেঞ্জো বক্সের মধ্যে ফাউল করেন বেলজিয়ামের জেরেমি ডোকুকে। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান কমান রোমেলু লুকাকু। তাতে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ২০০৬ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
বিরতির পর কিছুটা রক্ষণাত্মক পন্থা অবলম্বন করে খেলে ইতালি। সেই সুযোগে একের পর এক আক্রমণ শানায় বেলজিয়াম। তৈরি করে দারুণ কিছু সুযোগ। ৬১ মিনিটের মাথায় বামদিক থেকে কেভিন ডি ব্রুইনের বাড়িয়ে দেওয়া বল অল্পের জন্য জালে জড়াতে ব্যর্থ হন লুকাকু। গোললাইনের সামনে থেকে তার নেওয়া শট কোনেরকমে ফিরিয়ে দেন ইতালির লিওনার্দো স্পিনাজ্জোলা। ৭১ মিনিটের মাথায় আরও একটি গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন বেলজিয়ামের দ্রিস মার্টেন্স। কিন্তু সেটা থেকেও গোল করতে ব্যর্থ হন তিনি।
এরকম গোল মিসের মহড়ায় শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানে হেরে বিদায় নেয় ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা বেলজিয়াম। ২০১৬ সালের পর ২০২০ সালেও ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিলো রেড ডেভিলসরা।