মগবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সাতজন নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মুহা: শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আরেক প্রশ্নে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আসলে এখানে দায় তো আমাদের না। গ্যাসের সংযোগটা বৈধভাবে নেয়া হয়েছে কি না, গ্যাসের লাইনটা সাইনটিফিক্যালি লিক-প্রুফ ছিল কি না, সেটার এক্সপার্ট তো আমি না। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আছে। তারা এটা দেখভাল করবে। এরপর ব্যবস্থা গ্রহণের সময় যদি বাধা দেয়া হয়, আমরা দেখব।
তবে এটি কোনো নাশকতা নয় বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নাশকতা হলে বোমা বিস্ফোরণ হতো। সেখানে স্প্লিন্টার পাওয়া যেত। স্প্লিন্টারের আঘাতে মানুষ ক্ষতবিক্ষত হতো। আশাপাশে আপনারা ক্ষতিগ্রস্ত বাস দেখেছেন। বাসে কোনো স্প্লিন্টারের কণা পাওয়া যায়নি। অতএব নিশ্চিতভাবে বলা যায়, বোমার কোনো ঘটনা এখানে নেই। গ্যাস থেকেই বিস্ফোরণ হয়েছে।
মগবাজারের এ বিস্ফোরণে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত ও দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট, মগবাজারের ঢাকা কমিউনিটি ক্লিনিক ও আদ্ব-দীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে ৩৯ জনকে ঢাকা মেডিক্যালের জরুরি বিভাগেই নেয়া হয়েছে। ঢামেকের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন আহতরা হলেন রনি (২৭), জিয়াম (২৫), মাহবুব (৩০), অজ্ঞাত (২৫), লাভলু (৬০), সাজিদ (১৮), মিজান (৪২), ইকবাল (৫০), অজ্ঞাত (২৮), ইলিয়াস (২৬), রফিকুল (৩৫), সোহেল (২৬), জহির খান (২৬), সাজ্জাদ (৩৫), আবু খায়ের (৩৫), সুভাষ (৫৮), কামাল (৪২), অজ্ঞাত (৩২), আসাদ (২৭), মোক্তার (৩৫), রতন (৩০), অজ্ঞাত (৫৫), অজ্ঞাত (৫০), অজ্ঞাত (২৫), শাহজাহান (৪৫), নয়ন (২২), মুসা (৫০), ফজল (২৫), মিজান (২৫), রাকিবুল (৩০), হৃদয় (৩০), অজ্ঞাত (৩০), ইকবাল (৩০), মামুন (৪০), মাসুদ (৫০), শাহিন (৬০), কামাল (৪২), আইয়ুব (২৫), তপন (৩৫), অজ্ঞাত (৫০), কালু (৩৫), শাহ আলম (৫০) ও নাহিদ (২৬)।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মগবাজার ওয়্যারলেস গেট এলাকায় এ বিস্ফোরণ হয়। হতাহত সবার নাম পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।