কুমিল্লা জেলা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে রেকর্ড পরিমান মাদক উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ পিপিএম যোগদানের পর কুমিল্লাকে মাদকমুক্ত করার জন্য যে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তার ধারাবাহিকতায় জেলা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে বিপুল পরিমান মাদক উদ্ধারের সফলতা অর্জন করে। সারা দেশে রেকর্ড পরিমান গাঁজা উদ্ধার করে কুমিল্লা জেলা পুলিশ। ২১ জুন সোমবার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ পিপিএম এক প্রেস ব্রিফিং মাদক উদ্ধারের পরিসংখ্যান ও মাদক উত্ধারে জেলা পুলিশের সফলতা তোলে ধরেন।
চলতি বছরের ২ জানুয়ারি থেকে ২০ জুন পর্যন্ত সাড়ে ৫ মাসে তিন টন গাঁজা( তিন হাজার কেজি গাঁজা ) ১ লাখ ১৫ হাজার ৪১২ পিস ইয়াবা, ৮ হাজার ৫২৫ বোতল ফেন্সিডিল,৩৯৬ লিটার দেশি মদ, ২৩২ বোতল হুইস্কি, ৪২৪ বোতল বিয়ার, ৩৩৫ বোতল বিদেশি মদ, ২ হাজার ১১০ বোতল ইস্কার্ফ সিরাপ উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধারকৃত মাদকের মূল্য প্রায় ৮ কোটি ৭২ লক্ষ ৮৫ হাজার ১০০ টাকা বলে জানায় পুলিশ। মাদক পরিবহন, মাদক বিক্রেতা, মাদক সংশ্লিষ্টতায় জড়িত ১ হাজার ৬১২ জন আসামি গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, জেলা পুলিশ মাদক উদ্ধারে সর্বাত্বক প্রচেষ্ঠা গ্রহন করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২ জানুয়ারি থেকে ২০ জুন পর্যন্ত সাড়ে পাচঁ মাসে অভিযানে জেলা পুলিশের মাদক উদ্ধারের এ মাইলফলক অর্জন করেন। জেলা ব্যাপী মাদক উদ্ধারের ব্যাপক অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে মাদক বিস্তার রোধ ও নিয়ন্ত্রেনের লক্ষে প্রতিটি থানায় আলাদা কর্ম-পরিকল্পনা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কুমিল্লার সদর, সদর দক্ষিণ, বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া ও চৌদ্দগ্রাম থানা এলাকা দিয়ে মাদকের সিংহভাগ জেলায় প্রবেশ করে। প্রবেশদ্বার রুদ্ধ করার চেষ্টা চলছে। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স তৈরিতে অতীতের চেয়ে এখন জেলা পুলিশ আরও বেশি তৎপর।
কুমিল্লায় যোগদানের পর পর পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ ঘোষনা দিয়ে বলেছিলেন,”মাদক ছাড় না হয় কুমিল্লা ছাড়” তার কথার বাস্তবায়ন ও দিক নির্দেশনায় জেলা পুলিশ মাদক উদ্ধারের অব্যাহত অভিযান চালিয়ে আসছে।
প্রেস বিফ্রিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ ) কাজী মোহাম্মদ আব্দুর রহিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আফজল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দাউদকান্দি সার্কেল) জুয়েল রানাসহ পুলিশের ঊদ্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।