ম্যাচের শুরুতেই এক গোল নির্ধারণ করে দিলো খেলার ফলাফল। পরে ম্যাচজুড়ে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ হলেও আর কোনো গোলের দেখা নেই। রদ্রিগোরের ওই গোল হয়ে থাকল আর্জেন্টিনার জন্য পরম স্বস্তির।
অন্যদিকে কোপাতে এটি ছিল উরুগুয়ের প্রথম ম্যাচ। হতাশ করেছেন দলের তারকা খেলোয়াড় লুইস সুয়ারেজ ও এডিনসন কাভানি। গোল পোস্টে একটিও লক্ষ্যে শট নিতে পারেনি দুজন। শুধু তাই নয়, পুরো ম্যাচে চারটি শট নিয়েছিল উরুগুয়ে, যার একটিও ছিল না লক্ষ্যে।
বিপরীতে আর্জেন্টিনার নয় শটের মধ্যে ছয়টিই ছিল লক্ষ্যে। তবে বল পজিশনে এগিয়ে ছিল উরুগুয়ে, শতকরা ৫৫ ভাগ। পাস, সঠিক পাস; সব দিক থেকেই এগিয়ে থাকতে দেখা যায় সুয়ারেজদের। আর্জেন্টিনা বল চাপিয়েছে বেশি। তার প্রমাণ আটটি কর্ণার। বিপরীতে তিন কর্ণার আদায় করে উরুগুয়ে। একটি দিক থেকে বেশ এগিয়ে ছিল উরুগুয়ে, তা হলো ফাউল, ২১টি। আর্জেন্টিনার ফাউলের সংখ্যা সেখানে ১১টি।
ম্যাচের আট মিনিটেই গোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু মেসির সহায়তায় কাজটি করতে পারেননি মার্টিনেজ। এর মিনিট পাঁচেক পর লিড নেয় আর্জেন্টিনা। এটিও মেসির অ্যাসিস্ট। দারুণ হেডে উরুগুয়ের জাল কাঁপান রদ্রিগুয়েজ।
গোল হজমের পর তেতে ওঠে উরুগুয়ে। সুয়ারেজ-কাভানিরা চাপ দিতে শুরু করে মুহুর্মুহ। প্রথমার্ধের শেষ অবধি মাঝ মাঠ দখলে ছিল উরুগুয়ের। কিন্তু কাজের কাজটি করতে পারেনি তারা। আর্জেন্টিনার জমাট রক্ষণে চিড় ধরাতে পারেনি তাবারেজ শিবির।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোলের সুযোগ পেয়েছিল উরগুয়ে। ডান দিক থেকে ভালভার্দের দারুণ একটি ক্রস কাজে লাগাতে পারেননি লা ক্রুজ। অথচ একটু ছোঁয়া হলেও বিপদ হতে পারত আর্জেন্টিনার। বিপদমুক্ত করেন মার্টিনেজ।
এরপর গোটা ম্যাচে বলতে গেলে উল্লেখযোগ্য আক্রমণ নেই দুই দলের। শেষের দিকে লিওনেল মেসি ছিলেন দুরন্ত। বেশ কয়েকবার একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে ছুটে গেছেন প্রতিপক্ষের ডি বক্সের দিকে। কিন্তু পূর্ণতা পায়নি কোনো আক্রমণের।
দারুণ জয়ে গ্রুপের পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে মেসিরা। দুই ম্যাচে এক ড্র ও এক জয়ে চার পয়েন্ট তাদের। সমান চার পয়েন্ট নিয়েও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় দ্বিতীয় স্থানে চিলি। এক জয়ে তিন পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্যারাগুয়ে। উরুগুয়ে ও বলিভিয়া এখনো পয়েন্টের দেখা পায়নি।
আগামী ২১ জুন নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে প্যারাগুয়ের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। একই দিন চিলির সঙ্গে খেলবে উরুগুয়ে।