দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষকে ধরা হয় অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে। এরাই পরিশ্রম করে দেশের অর্থনীতিতে নানাভাবে ভূমিকা রাখছেন। এই মধ্যবিত্ত শ্রেণিতে রয়েছেন চাকরিজীবী, কৃষক, ছোট ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী। নানা কারণে এরা চাপের মুখে। নিত্যপণ্যের বাড়তি দাম, শিক্ষা-চিকিৎসাসহ নানা খরচের চাপে ত্রাহি অবস্থা। এ অবস্থায় করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ১৫ মাসে চাকরি হারিয়েছেন হাজারো মধ্যবিত্ত। এ শ্রেণির অনেকের আয় কমেছে, কিন্তু চিকিৎসাসহ জীবনধারণের প্রয়োজনীয় ব্যয় বেড়েছে। অনেকেই চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে ঋণে জর্জরিত। অথচ নির্দিষ্ট আয়ের বাইরে আর কোনো বিকল্প আয়ের উৎস তাদের নেই।
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ নিয়ে হতাশাজনিত অনাগ্রহ কাটেনি। সঞ্চয়পত্র নিরাপদ বিনিয়োগ বিবেচিত হলেও নতুন বাজেট প্রস্তাবে ঋণে ঘাটতি মেটাতে সঞ্চয়পত্রের নজর দেয়ায় মধ্যবিত্তের পকেট কাটা পড়বে। বাজেটে জীবন-জীবিকার সুরক্ষার কথা বলা হলেও কোনো কিছুই স্পষ্ট করা হয়নি। এই শ্রেণির মানুষের প্রত্যাশা ছিল ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের বাজেটে তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দেয়া হবে।
কিন্তু ৩ জুন সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটে মধ্যবিত্তের জন্য কোনো ‘অবলম্বন’ রাখা হয়নি। বরং অর্থমন্ত্রী বাজেটকে সময়োপযোগী দাবি করে বলেছেন, এ বাজেট ব্যবস্থাবান্ধব।
জানতে চাইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. এবি মীর্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, যে বাজেট পেশ করা হয়েছে তা বাস্তবায়ন করা হবে বড় চ্যালেঞ্জ। বাজেটে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য দিকনির্দেশনা রয়েছে। তবে মধ্যবিত্তের জন্য কোনো নির্দেশনা নেই। বাজেটের পর এই মধ্যবিত্ত শ্রেণি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ পণ্যের দাম ও সেবার মূল্য বাড়লে সবাইকে তা পরিশোধ করতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই মধ্যবিত্ত শ্রেণি বাজেটের পর ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অথচ করোনা কালে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষকে জীবন সংগ্রামে ফিরিয়ে এনে অর্থনীতি চাঙ্গা করা যেতো।
জাতীয় সংসদে ৬০৩৬৮১ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য বেশকিছু ইতিবাচক উদ্যোগ রয়েছে। দরিদ্র ও অতিদরিদ্রের জন্য সামাজিক সুরক্ষা খাতের ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু সবচেয়ে বৃহৎ জনগোষ্ঠী মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিপন্ন মানুষের ঘুরে দাঁড়ানোর স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই।
জানতে চাইলে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে মধ্যবিত্তের জন্য কিছুই দেখছি না। বিভিন্ন খাতে কর ছাড় দেয়া হয়েছে। যেসব খাতে কর ছাড় দেয়া হয়েছে, তার বেশিরভাগ সুবিধা পাবে সংগঠিত ও বৃহৎ শিল্প। কিন্তু মাঝারি বা ছোট শিল্পের জন্য সুনির্দিষ্ট খুব বেশি সুবিধা নেই। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের জন্য তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। সরকারি ব্যয় বাড়লে নিম্নশ্রেণি উপকৃত হয়। মধ্যবিত্তের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ কোথায়?করোনা-পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের ব্যাপারে সমন্বিত কোনো পরিকল্পনাও নেই। টিকা সংক্রান্ত ব্যয় এবং বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা দেখছি না। করোনায় দরিদ্র বেড়েছে। কর্মসংস্থান এবং মানুষের আয় কমেছে। বেড়েছে অর্থনৈতিক বৈষম্য। বাজেটে তার কোনো প্রতিফলন নেই। মূলত বাজেটে সাধারণ মানুষকে বিবেচনায় নেয়া হয়নি।
প্রায় অভিন্ন কথা বলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, সরকার দেশের জনগণের সেবা নিয়ে মোটেও উদ্বিগ্ন নয়। বাজেটে পরিচালন ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতাসহ বিভিন্ন সুবিধার জন্য সহায়ক হবে। বাজেটে করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত নতুন করে দরিদ্র হওয়া এবং শহুরে দরিদ্র জনগণের ওপর যথাযথ মনোযোগ না দিয়ে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা মধ্যবিত্তকে গুরুত্বই দেয়া হয়নি।
সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার পর গত কয়েকদিনে দেশের অর্থনীতিবিদরা বেশ কয়েকটি সেমিনার ও সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। টিভি চ্যানেলগুলোতে অংশ নিয়ে বাজেট প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সবখানেই অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, জাতীয় সংসদে পেশ করা বাজেটে মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য তেমন কোনো সুখবর আসেনি। বাজেটে ব্যবসায়ী ও সরকারি কর্মচারীদের স্বার্থ দেখা হয়েছে। তাদের বক্তব্য প্রস্তাবিত বাজেটে করোনা কালের জন্য কর্মসংস্থানের নতুন কোনো দিকনির্দেশনা নেই। বাজেটে দাবি করা হয়েছে ব্যবসা ও শিল্পের জন্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোয় কর্মসংস্থান বাড়বে। এই সুবিধা সবাই পাবে। কিন্তু মধ্যবিত্ত শ্রেণি কি কি খাতে সুবিধা পাবে তা পরিষ্কার নয়।
করোনকালে বন্ধ থাকা সরকারি চাকরিতে নিয়োগসহ অন্যান্য স্বায়ত্তশায়িত প্রতিষ্ঠানের শূন্য থাকা পদে নিয়োগ ও নিয়মিত জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য নেই। ব্যবসা ও শিল্প বিনিয়োগের পাশাপাশি শিক্ষিত জনবলকে কাজে লাগাতে সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়াও সচল করা প্রয়োজন। এতে অন্তত কিছু পরিবারের কর্মসংস্থানের সুযোগ হতো। করোনা কালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই শিক্ষার্থীদের বেতন-ফি নিয়মিত আদায় করে যাচ্ছে। সন্তানদের নিয়ে হতাশায় থাকা অভিভাবকরা এই বেতন-ভাতা দিতে গিয়ে বাড়তি চাপে পড়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার নতুন বাস্তবতা হলো মধ্যশ্রেণির মানুষেরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। চাকরি হারানো, আয় হ্রাস, চিকিৎসা ব্যয় বৃদ্ধিসহ নানা কারণে ক্রয় ক্ষমতার অবনমন বাজারে প্রভাব। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের একটি রূপরেখা বাজেটে খুবই প্রত্যাশিত ছিল। অথচ প্রস্তাবিত বাজেটে মধ্যবিত্ত শ্রেণির স্বার্থ উপেক্ষিত।
বিশ্বব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বেতনভোগী কর্মীদের আয় ৪৯ শতাংশ কমে গেছে। তবুও এখানে বেকারত্বের সুবিধা এখনও হাজার মাইল দূরের ভাবনা। এমনকি বাজেট বক্তৃতায় জীবন-জীবিকাকে অগ্রাধিকার দেয়ার দাবি করা হলেও বাজেট পর্যালোচনা করে এর বাস্তব প্রতিফলন দেখতে পাননি অর্থনীতিবিদরা। করোনার কারণে নিম্নমধ্যবিত্ত থেকে যারা দরিদ্র হয়েছেন তাদের জন্য কোনো কার্যকর কর্মসূচি নেই। মানবসম্পদ উন্নয়ন, জীবিকা নিশ্চিতের কোনো পদক্ষেপের কথা বাজেটে নেই। ১৫ মাস ধরে চলা শিক্ষার অচলাবস্থা থেকে বের হয়ে কীভাবে শিক্ষার্থীদের যোগ্য ও কাজের উপযুক্ত করে তোলা হবে সে বিষয়েও সুনির্দিষ্ট কোনো উদ্যোগ নেই। অর্থনীতির এই ক্রান্তিকালে কর ছাড় ও করপোরেট কর হ্রাসের ঘোষণা দিয়ে ব্যবসায়ী, শিল্পপতিদের সুবিধা দেয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে সাবেক সচিব ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, বাজেটে স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা অস্পষ্ট। এতে জিডিপির হিসাবায়নের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত, পারসেপশন ও রিয়ালিস্টিকের পার্থক্য আছে। মানুষ ও অর্থনীতিকে বাঁচানোর জন্য ইমিডিয়েট যেগুলো দরকার ছিলো সেগুলোতে বরাদ্দ আশানুরূপ হয়নি। সরকার মনে করেছে, ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো হলে কর্মসংস্থান হবে। কর্মসংস্থান হলে মানুষ বেঁচে যাবে। অথচ বেসরকারি খাতে মোটেও বিনিয়োগে আসছে না। মধ্যবিত্ত যারা করোনায় বিপদে পড়েছে তাদের জন্য সুখবর দেখছি না। তবে সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন সেগুলো মূলত ব্যবসাবান্ধব।
অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবিত বাজেটে দেখা যায় সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীতে বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে এক লাখ ৭ হাজার ৬১৪ কোটি টাকার। সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীতে এতদিন ৮৮ লাখ গরিব-অসহায় সহায়তা পেয়ে আসছিল। এই বাজেটে আরো ১৪ লাখ সুবিধাভোগী যুক্ত হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি, নারীদের জন্য কর ছাড় ইতিবাচক হলেও মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য কোনো আশার খবর নেই। করোনায় ১৫ মাসে যারা কাজ হারিয়েছেন, যারা নতুন দরিদ্র, তাদের জন্য বরাদ্দও রাখা হয়নি। আর মধ্যবিত্তের কোনো সুবিধাই নেই। বরং সরকারি কর্মচারীদের ফ্লাট নির্মাণ ও আবাসন সুবিধাকে মধ্যবিত্তের সুবিধা বলে ধরা হয়েছে। অবশ্য অর্থনীতিবিদদের অনেকেই বলছেন নতুন বাজেট প্রস্তাবে দারিদ্র্যহারসহ অনেক তথ্য-উপাত্তের মধ্যেই সামঞ্জস্য নেই। অনেক উপাত্তের হালনাগাদ পরিসংখ্যান নেই, কর্মসংস্থান সৃষ্টি নিয়ে সুস্পষ্ট ধারণাও নেই।
জানতে চাইলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, প্রস্তাবিত এ বাজেট দুর্বল এবং এটি বাস্তবায়নে সামনে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। করোনা মোকাবিলা এবং করোনা থেকে ফিরে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করার জন্য যে বাজেট প্রয়োজন ছিল সেটা আমরা লক্ষ্য করিনি। সামগ্রিকভাবে আমাদের কাছে মনে হয়েছেÑ করোনা কালীন এই বাজেট দুর্বল অনুমিত এবং বাস্তবায়নের সীমাবদ্ধতা আমাদেরকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলবে। সরকারি ব্যয়ের বর্ধিত বরাদ্দে দেখা যাচ্ছে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জনপ্রশাসনে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পাবলিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও একটা বর্ধিত বরাদ্দ দেখা যাচ্ছে। খাতওয়ারি বিষয়ের মধ্যে সবার আগে আসে স্বাস্থ্যখাত। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে সামান্য কিছু ভাতা ও বরাদ্দ বেড়েছে। কিন্তু সেখানে আগের মতোই সরকারি কর্মচারীদের পেনশন রয়েছে। এখানে পেনশন যতটা বেড়েছে, সামাজিক নিরাপত্তার আসল যে অংশ সেখানে নিট ততোটা বাড়েনি। মধ্যবিত্তের জন্য ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য তেমন কিছু নেই।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ঘোষিত বাজেটের বিস্ময়কর করোনা মহামারির মধ্যেও অনুৎপাদনশীল খাতসহ সরকার পরিচালনায় ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়েছে। মহামারি দুর্যোগ থেকে উত্তরণে প্রবৃদ্ধির বয়ানের পরিবর্তে দরকার ছিল দেশের ৬০ শতাংশ মধ্যবিত্ত ও নিম্নবৃত্ত মানুষ কিভাবে বিদ্যমান বিপর্যয় থেকে বেরিয়ে আসবে তার বিশ্বাসযোগ্য ও কার্যকরি পদক্ষেপ। কিন্তু বাজেট প্রস্তাবনার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা অনুপস্থিত।
জীবন ও জীবিকার সঙ্গে সংযোগ নেই : অধ্যাপক সেলিম রায়হান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা বলেন, বাজেটে প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির ফারাক আছে। কৃষিখাত বা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় কর ছাড় দেয়ার যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তা ইতিবাচক হলেও নিম্নআয়ের মানুষ তার কতটা সুবিধা পাবে, সেটা পরিষ্কার নয় বলে মনে করেন তিনি। ব্যবসাবান্ধব বাজেটের কথা বললেন অর্থমন্ত্রী, কিন্তু ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের প্রতিষ্ঠানগুলো কতটা সুবিধা পাবে, তাও স্পষ্ট নয়। ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের প্রতিষ্ঠানগুলো কতটা সুবিধা পাবে, তা স্পষ্ট নয়। কর্মসংস্থান, দারিদ্র্য বিমোচন ও সামাজিক অবকাঠামো খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি রোডম্যাপ থাকা উচিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হান বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটের শিরোনামে জীবন ও জীবিকার কথা বলা থাকলেও বাস্তবতার সঙ্গে এর সংযোগ নেই। বর্তমান জীবন ও জীবিকার বাস্তবতার সঠিক কোনো মূল্যায়ন করা হয়নি। আমরা যদি সমস্যাকে সঠিকভাবে তুলে আনতে না পারি, তবে এর সমাধান করব কিভাবে। সমস্যা যদি সঠিকভাবে না পাই, এর সমাধান সঠিক হবে না।
বাজেটে দারিদ্র্য নিয়ে, কর্মসংস্থান নিয়ে, শ্রমবাজার নিয়ে, এসএমই নিয়ে এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধার নিয়ে যে আলোচনা করা হয়েছে সেটা অপরিপূর্ণ আলোচনা। আর এই ধরনের অপরিপূর্ণ আলোচনার বিপদ যেটা হচ্ছে, নীতি নির্ধারণের মধ্যে এক ধরনের শৈথিল্য কাজ করে। সব বিষয়ের সঠিক চিত্র বাজেটে ছিল না, তাই করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি থেকে মুক্তির সমাধান আমরা এই বাজেটে পাইনি। আর বাজেটে সমাধানের যে চেষ্টাগুলো করা হয়েছে, সেগুলো হয়েছে এডহক বিসিসে। সমস্যা সমাধানের সামগ্রিক কোনো পরিকল্পনা আমরা দেখিনি।