স্থল অভিযানের প্রস্তুতির পাশাপাশি অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা জোরালো করেছে ইসরায়েল। পাল্টা প্রতিরোধ জারি রেখে রকেট ছুড়ে জবাব দেওয়া অব্যাহত রেখেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। মিশরীয় মধ্যস্ততাকারীরা দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চালিয়ে গেলেও অব্যাহত রয়েছে সংঘাত। গত চার দিন ধরে ইসরায়েলের জোরালো বিমান হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে ১০৯ জনে দাঁড়িয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার গাজার বাসিন্দারা ঈদুল ফিতর উদযাপন করলেও রক্ষা পায়নি ইসরায়েলি বিমান হামলা থেকে। ইসরায়েলের চালানো এই আগ্রাসনের প্রভাব নিজ দেশেও পড়তে শুরু করেছে। দেশটির বিভিন্ন শহরে আরব ও ইহুদি জনগোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয়েছে দাঙ্গা। দীর্ঘ দিন ধরে চলা ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের নতুন রুপ হিসেবে দেখা হচ্ছে ইসরায়েলের এই অভ্যন্তরীণ দাঙ্গা।
নতুন করে চালানো বিমান হামলায় গাজার ছয় তলা একটি ভবন গুড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি যুদ্ধ বিমান। ভবনটি গাজার শাসক দল হামাসের নিয়ন্ত্রণাধীন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজার মোট এক হাজার লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। ফিলিস্তিনি প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইসরায়েলি কামান ও ট্যাংক গোলাবর্ষণ শুরু করলে গাজার বহু বাসিন্দা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২৮ শিশু ও ১১ নারীসহ অন্তত ১০৯ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৫৮০ জন। করোনা মহামারিতে এমনিতেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়া হাসপাতালগুলোর ওপর নতুন করে চাপ বাড়াচ্ছে এসব হতাহত মানুষ।