কুমিল্লা গোমতী নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলনসহ চরের জমি ও কৃষি জমিতে মাটি কাটতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার নিষেধ করা হলেও বন্ধ নেই অবৈধ বালু উত্তোলনসহ নদীর চর ও কৃষি জমির মাটি কাটা।
অবৈধ ভাবে নদীতে মাটি কাটার খবর পেয়ে গতকাল সোমবার সদর এলাকার গোমতী নদীর তিন এলাকায় কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানে গোমতীর কৃষি জমিতে মাটি কাটার অভিযোগে সাতটি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করা হয়। এ সময় বালু উত্তোলন করা অবস্থায় একটি বড় ড্রেজারে আগুন ধরিয়ে দেয় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। উক্ত অভিযানের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশীক উন নবী তালুকদার ও অতীশ সরকার। এর আগে অবৈধ বালু উত্তোলন, নদীর চরকাটা বন্ধ করার জন্য গোমতী নদীতে অব্যাহত অভিযান চালিয়ে আসছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবু সাঈদ।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবু সাঈদ বলেন গোমতী নদীর বালু উত্তোলনের জন্য এ বছর কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন এবং নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গোমতীর বাঁধের ভেতরে চরের কৃষি জমিতে মাটি কাটার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন অভিযান অব্যাহত রেখেছে। সোমবার আদর্শ সদর উপজেলার পালপাড়া এলাকায় গোমতী নদীর ভূঁইয়াবাড়ি ঘাট, দূর্গাপুর ও আড়াইওড়াসহ তিনটি স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে পালপাড়ার ভূঁইয়াবাড়ির ঘাটে চারটি, দুর্গাপুরে একটি এবং আড়াইওড়ায় দুটি ড্রেজার ধ্বংস করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদ বলেন, গত ২০শে মার্চ থেকে গোমতী নদী ও নদীর চরের কৃষি জমি রক্ষায় দিন-রাত অভিযান শুরু করে জেলা প্রশাসন। গোমতী রক্ষায় মাসব্যাপী ২৪ ঘণ্টা অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন লোকজনসহ আটক করা হয় মাটিবাহী গাড়ি ভেকু, ড্রেজার মেশিনসহ মাটিকাটা সরঞ্জাম। এতে অনেকটাই কমে আসে মাটি কাটা।