উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বামী-স্ত্রী সহ একই ঘরের তিনজন নিহত হয়েছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে এ লোমহর্ষক ঘটনা ঘটে।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমেদ সনজুল মোরশেদ এ হত্যাকান্ডের ঘটনা শুনেছেন বলে জানিয়েছেন।
নিহত তিনজনের দুইজন স্বামী – স্ত্রী ও অপরজনও একই পরিবারের সদস্য বলে জানা গেছে। প্রতিবেশী রোহিঙ্গারা জানান, কুতুপালং মেগা ক্যাম্পের ২/ইষ্ট ক্যাম্পের ডি – ৭ ব্লকে শুক্রবার বিকেলে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে। নিহত রোহিঙ্গারা হলেন, ওই ক্যাম্পের একই ব্লকে আলী হোসেনের ছেলে নুরুল ইসলাম (৩২), তার স্ত্রী মেয়ে মরিয়ম বেগম (২৬) ও নুরুল ইসলামের শ্যালিকা হালিমা খাতুন (২২)।
পুলিশ বলছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরে প্রথমে নুর ইসলাম তার স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করে। এসময় বোনকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে শ্যালিকাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এতে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সে নিজেই আত্মহত্যা করে। তবে তার শরীরেও বিভিন্ন আঘাত দেখা গেছে। সে একজন মাদকসেবী ছিল বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
প্রতিবেশী ও নিহতের আত্মীয় স্বজনরা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ চলে আসছে।
তাদের সংসারে ৩ টি শিশুও রয়েছে। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদের ব্যাপারে স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার বৈঠক হয়েছে। কিন্তু যারা ব্লক ও হেড মাঝি আছে তারা টাকার বিনিময়ে শালিস বিলম্বিত করায় এ খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে তাদের অভিমত।
কুতুপালং ক্যাম্পের ইনচার্জ এর দায়িত্বে থাকা উপ-সচিব মোঃ রাশেদুল ইসলাম খুনের ঘটনা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী,স্ত্রী ও শ্যালিকাসহ তিনজন খুন হয়েছে। মৃতদেহ উদ্ধারে কার্যক্রম চলছে।