রাজধানীর পল্লবীর নান্নু মার্কেট সংলগ্ন বাড়িটি নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। দারোয়ানের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত এই বাড়িটিতে মালিক পক্ষের আনাগোনা ছিলোনা। অতপর দারোয়ানের সহযোগিতায় মিরপুরের ভূমিদস্যু আমিরুজ্জামানগং বাড়িটি দখল করা নিয়ে পত্র/পত্রিকায় বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর মালিক পক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়। অতপর সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বাড়িটির মূল মালিক মোঃ সোহাগ গং বাদী হয়ে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ঢাকার আদালতে প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-সিআর ২৪৮/২০২১ (পল্লবী)।
উক্ত মামলায় মিরপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী মোঃ আমিরুজ্জামানের অন্যতম সহযোগি নাছিমা আক্তার (যার নামে ভুয়া দলিল সৃজন করে), মোতালেব, নূর মোহাম্মদ, শফি উদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। বাড়িটি মিরপুর সেকশন-বাসা-৯, রোড-৫, ব্লক-এ তে অবস্থিত। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর আসামীদের আর দেখা মিলছেনা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, অভিযোগ রয়েছে মামুন জামিল বাহিনীর সদস্য আমিরুজ্জামান তার সহযোগীদের নিয়ে রাতের আধারে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বাড়িটি দখল করে। এ বিষয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একটি মানববন্ধন হয়। দেশের প্রথম সারির বিভিন্ন গন্যমাধ্যমে ভূমিদস্যু আমিরুজ্জামানের বাড়ী দখলের সংবাদ প্রকাশিত হয়। সে সময়ে বাড়ীটি দেখতে ভীড়জমায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে মিরপুর ২ হাউজিংয়ের লোকজনও আসে। স্থানীয় কাউন্সিলর, প্রশাসনের লোকজন বাড়ীটি পরিদর্শন করে বাড়ীর প্রকৃত মালিকদের খোঁজ খবর নিয়েছেন। পুর্বে যারা বাড়ীটি দখল করে রেখেছিলেন তাদেরকে দেখা না গেলেও বাড়ীটিতে নতুন আরেকদল দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের মাঝে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়দের দাবী দু’দিন পর পর এই বাড়ীতে বহিরাগতরা বিভিন্ন ধরনের মদ্যপানের পার্টির আয়োজন করে চলতে থাকে মজমা। এতে আশেপাশে বসবাসকারীরা বিরক্ত হলেও ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারেনা। এ বিষয়ে থেকে তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এই বিষয়ে পল্লবী থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলীকে ফোন করলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি এড়িয়ে যান।