বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রেখে চলেছেন। তেমনই একজন মোশাররফ হোসেন শহীদ। মহামারি করোনাভাইরাসের ভয়াবহ সংক্রমণের মধ্যে সাহসী ভূমিকা রাখায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থিত বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন ‘বুর্জ আল খালিফা’র গায়ে ডিসপ্লে-তে ফুটে উঠছে তার ছবি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের ফ্রন্ট লাইন হিরোস ইউএই পেজে এ ভিডিও শেয়ার করা হয়। দুবাইয়ের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) রাত ১২টায় আমিরাত সরকারের দৃষ্টিতে মহামারি চলাকালে ‘ফ্রন্টলাইন হিরো’র ভূমিকা পালন করা ৮ জনের ছবি একে একে পর্দায় প্রর্দশিত হয়। এর মধ্যে চার নম্বরে ভেসে ওঠে ৩৮ বছর বয়সী বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার সন্তান মোশাররফ হোসেন শহীদের ছবি। ২০০৬ সাল থেকে মোশাররফ দুবাই মিউনিসিপ্যালিটির ‘ইমার্জেন্সি পেস্ট কন্ট্রোল ডিপার্টমেন্ট’ এ কাজ করছেন ।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর তাকে আত্মসুরক্ষা ও জীবাণুমুক্তির কাজে ব্যবহার হওয়া রাসায়নিকের মিশ্রণ এবং প্রয়োগের ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। মোশাররফ গণমাধ্যমকে বলেন, মাস্ক, গ্লাভস, ফেইস শিল্ড, প্রটেক্টিভ স্যুটে সজ্জিত হয়ে কারফিউ চলাকালে কখনো হেভি ভেহিকলে, কখনো বাইকে, কখনো ড্রোন এর মাধ্যমে জীবাণুমুক্তির কাজ করতে হতো আমাদের। কাজগুলো সহজ ছিল না। কিন্তু আমি দিনের পর দিন, রাতের পর রাত কাজ করে যেতাম। বুঝতে পারতাম এটা কত জরুরি। অন্যদিকে আমার পরিবার-পরিজন উৎকণ্ঠায় থাকত আমি আবার করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হই কিনা। মোশাররফ আরও বলেন, সবাই আমার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু আমি জানি আমার দায়িত্ব কত গুরুত্বপূর্ণ। মহামারি করোনা ভাইরাস মোকাবিলা করতে শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়ায় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মোশাররফ হোসেন শহীদ।