কুমিল্লা আমাদের দেশের প্রাচীন শহরের মধ্যে একটি। এইশহরের অলি-গলি মোটামুটি চেনা জানা।একসময় এই শহরে সাইকেল চালিয়ে মেস লজিং করে ,টিউশনি করে পড়াশোনা করেছি, পাশাপাশি লেখালেখি করতাম বলে কখনো ক্যামেরা হাতে ছুটতাম শহরের টিক্কাচর থেকে শাসনগাছা,বালুতুপা থেকে জাঙ্গালীয়া।
দেশ এগিয়েছে, এগিয়ে যাচ্ছে দূর্বার।তবে সেই হিসেবে কুমিল্লাও এগিয়েছে। কতটুকু এগিয়েছে তার সঠিকতথ্য আমার চেয়ে কুমিল্লাবাসী ভালো দিতে পারবে।
আজ সন্ধ্যার পর একটি পায়ের প্যাডেল চালিত রিক্সায় চড়ে শহর দেখতে বের হলাম। শহরে অসংখ্য মটরচালিত রিক্সার ভীড়ে পায়ে চালিত রিক্সা খুঁজে পেতে আমার সময়ও লেগেছে বেশ।
লকডাউনে শহরে তেমন ভীড় না থাকায় শহরটা ঘুরে দেখতে তেমন সমস্যা হয়নি।গত ১০/১৫ বছরে এই শহরে গড়ে উঠেছে বিশাল বিশাল বহুতল বিলাস বহুল ভবন।
দূর্ভাগ্যের হলেও সত্য ভবিষ্যতের কুমিল্লা কথা চিন্তা না করে গড়ে তোলা এই ভবন গুলো দৃষ্টি নন্দন হলেও পার্কিং ব্যবস্থা কিংবা পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা গুলো দেখে মনে হয়েছে একসময় এই ভবন গুলোই নগরবাসীর জন্য বিষপোঁড়া হয়ে দাঁড়াবে।
কোনটি আবাসিক ভবন কোনটি বাণিজ্যক ভবন তা ঠিক ভেবে নিতে পারিনি এই শহরে। নগরীর ফুটপাত আর ড্রেনেজ ব্যবস্থায় ব্যাপক আলেকসজ্জা চোখে পড়লেও একফুট ড্রেন বড়করে নির্মাণ করার কোন চিত্র চোখে পড়েনি। যার ফলে বৃষিটিতে জলাবদ্ধতা আশংঙ্খা থেকেই গেলো।
বেপরোয়া গতির মটর চালিত রিক্সা দেখে ভয়ে বুক কেঁপে উঠে এযেন দূর্ঘটনা ঘটেই গেলো ! রাজগঞ্জ বজ্রপুর মোড়ে দাঁড়াতেই রাস্তার মাঝখানে সিএনজি দাঁড় করিয়ে চালক আমাকে ডাকছে শাসনগাছা যেতে।
এক ব্যবসায়ীর অভিযোগ, প্রধান সড়ক আটকে দিয়ে এভাবে যাত্রী নেয়ার দৃশ্য কুমিল্লা শহরে নিত্যদিনের।
এযেন বেওয়ারিশ এক শহর.. যে যার মতো লুটে নিচ্ছে সরকারী অর্থ হোক আর নগরবাসীর পকেটের টাকা হোক। নিয়মনীতির যেন কোন বালাই নেই এই শহরে….
লেখক: এসএন ইউসুফ
পিএ মজিবুল হক (সাবেক রেলপথমন্ত্রী)