আমার স্কুল জীবনের বন্ধু লিমনের সাথে একদিন এমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল তা হয়ত বর্তমান সময়ের ছেলে মেয়েদের কাছে রুপ কথার গল্প মনে হতে পারে ! মনের তৃপ্তি মেটাতে না লিখে পারলাম না।
সেই দিন স্কুল পালিয়েছিলাম। সময়টা ১৯৯৮ সালের কোন একদিনে ।আমি আর বন্ধু লিমন একসাথে সিনেমা হলে গিয়েছি বাংলা ছবি দেখতে। ছবি দেখা শেষে বাড়িতে ফিরব এ সময় একটি পুরাতন লোকাল বাস পেয়ে ওঠে গেলাম।ঐ সময়ে বাসের দরজা সব সময় খোলাই থাকত। বাসটা যখন শহর থেকে হাইওয়েতে ওঠল তখনই একটা রিক্সাকে ধাক্কা দিল হঠ্যাৎ দেখি আমার পাশে বসা লিমন বাসের দরজা দিয়ে রাস্তায় ছিটকে পড়ে গেল (বাসের ঠিক দরজার সাথে সিটে দুই বন্ধু বসা ছিলাম )। বন্ধুর পড়ে যাওয়া দৃশ্য দেখা মাত্র বাস ওয়ালাদের থামাতে অনুরোধ করলাম। কে শোনে আমার মত ছোট্ট ছেলেটির কথা ! বরং দেখলাম বাস ড্রাইভার আরোও জোরে/ স্পীডে বাড়িয়ে চালায়। তখন এতটুকু আমার মনে হইল বন্ধু লিমন রাস্তায় পরে থাকবে আর আমি বাসে নিরাপদেবেসে থাকব তাতো হতে পারে না।বাধ্য হয়ে নিজের মরার কথা চিন্তা না করেই সেই সময় বাস থেকে লাফ দিলাম ! এরপর আর কিছু মনে নেই আমার।
এটাই বন্ধুত্ব ! বন্ধুর জন্য বন্ধু হাঁসি মুখে প্রাণ দিতে পারে। সেই দিনের ঘটে যাওয়া ঘটনা হয়ত বন্ধু লিমন বুঝতে পেরেছে কিনা তা আমার জানা নেই। বার বার স্মৃতিতে ভেসে বেড়ায় বন্ধুত্বের টান ও ভালাবাসা। ছুটে চলা চলন্ত বাস থেকে নিজের ইচ্ছায় লাফ দিতে পেরেছি বন্ধুর জন্যই! আজকাল কতজন বন্ধু পাওয়া যাবে এ পৃথিবীতে। আমার বলতে ইচ্ছে জাগে না তারপরও বলতেই হয় “আমি কেন এত বন্ধু পাগল মানুষ হলাম” তার উওর আজও আমার জানা হয়নি।
সময়ে একটা সত্যি কথা বলি আমার কোন দু:খ নেই ! একটি না বলা কথা আজ বলতে খুবই ইচ্ছে করছে কেন জানি ” আমি অনতু বন্ধুদের কাছ থেকেই অনেক অনেক বেশি কষ্ট পেয়েছি। তারপরও মন থেকে বলি বন্ধুদের জীবনগুলি সুখের হোক! জয় হোক সকল বন্ধুদের।।