সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে গুগলের খ্যাতি জগতজোড়া৷ বলা যায়, সার্চ সেবায় একক আধিপত্য এই প্রতিষ্ঠানটির৷ কিন্তু আমরা গুগল সার্চ কতটা ব্যবহার করি? এখানে পাবেন এমন কিছু ফিচারের কথা যা অনেকেই জানেন না৷
টাইমারের কথাই ধরুন৷ ঘড়ি কিংবা মোবাইল ব্যবহারের দরকার কী? গুগল ডটকমের সার্চ বক্সে ইংরেজিতে লিখুন ‘‘সেট টাইমার ৩০ মিনিটস৷” ত্রিশ এর জায়গায় অন্য কোন সংখ্যাও দিতে পারেন৷ এরপর গুগলই আপনার টাইমার হিসেবে কাজ করবে৷
আচ্ছা, আপনি কি রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে বখশিশ দেন? জার্মানিতে কিন্তু বখশিশের ব্যাপারটা বেশ প্রচলিত৷ সাধারণত খাবারের যে বিল হয় তার ১০ শতাংশ হিসেব করে বখশিশ দেয়া হয়৷ এখন আবার অঙ্ক কষতে বসার দরকার নেই৷ তার চেয়ে গুগলের কাছে যান এবং সার্চ বক্সে ইংরেজিতে লিখুন ‘‘টিপ ক্যালকুলেটর৷”
ব্যস্ততার মাঝে ছুটির দিনের হিসেব রাখা কি সহজ কাজ বলুন৷ আমিতো একেবারেই খেয়াল রাখতে পারিনা৷ অবশ্য এজন্য আফসোসও নেই৷ কেননা গুগল আছে৷ শুধু উপলক্ষ্যটা লিখে দিন সার্চ বক্সে৷ তারিখসহ বিস্তারিত সব গুগল নিজেই খুঁজে দেবে৷ এটা শুধু ছুটির দিনই নয় নতুন সিনেমা বা গেমের মুক্তির দিন জানার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য৷
আপনার কি মনে হচ্ছে, দিন দিন মুটিয়ে যাচ্ছেন? ওজনটা মেপে দেখতে পারেন৷ তবে খাবারদাবার সব আবার ছেড়ে দেবেন না যেন৷ তার চেয়ে গুগলের সাহায্য নিন৷ কোন খাবারে কী পরিমাণ ক্যালোরি বা প্রোটিন আছে তা সহজেই জানতে পারবেন৷ উদাহরণ হিসেবে সার্চ বক্সে ইংরেজিতে লিখতে পারেন, ‘‘পিৎসা ভার্সেস কাপকেক৷” এবার বিস্তারিত নিজেই দেখে নিনি৷
কম্পিউটারে গান শুনতে অনেকেই ভালোবাসেন৷ কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, গানের সুর মনে আছে কিন্তু কথা খেয়াল নেই৷ নো চিন্তা৷ গুগল আছে না৷ সার্চ বক্সে লিখুন ‘‘সং অফ ম্যাডোনা” বা অন্য কারো নাম৷ গানের বিস্তারিত তালিকা পেয়ে যাবেন৷
ছেলে বিদেশে যাচ্ছেতো বাবা-মা অস্থির৷ ঠিকমতো বিমান ছাড়লো কিনা এখন কোথায় আছে কিংবা কতক্ষণে গন্তব্য পৌঁছাবে– কত চিন্তা? বাবা-মাকে এত চিন্তা বাদ দিয়ে গুগল নিয়ে বসে পড়তে বলুন৷ সার্চ বক্সে লিখতে বলুন ফ্লাইট নম্বর এবং এয়ারলাইন্সের নাম (যেমন: ফ্লাইট ৮১৫ ইউএস এয়ারওয়েজ)৷ এরপর তারা নিশ্চিন্তে তাকিয়ে থাকতে পারেন পর্দার দিকে৷ বিমান কোথায় আছে, কতদূর গেছে আর কতক্ষণে গন্তব্যে পৌঁছাবে সবই দেখতে পাবেন তারা৷
এখন আবার রোজার মাস৷ তাই সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময় জানা বেশ জরুরি৷ চিন্তার কিছু নেই৷ গুগলে লিখুন, সঙ্গে সঙ্গে জেনে যাবেন প্রয়োজনীয় সময়ের কথা৷সূত্র:ডয়েচে ভেলে