“তোমাতে আমি আহত”
টিপ পরলে তোমার সৌন্দর্য দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
তোমার টিপে আহত হয় পথিক।
টং দোকানের চা বিক্রেতা থেকে শুরু করে শ্রমিক পর্যন্ত
তোমার দিকে ফেলফেলিয়ে তাকিয়ে থাকে।
যেনো তোমাকে গিলে খাবে।
কোট পরা ভদ্র লোকটিও কম নয়,
সেও আড়চোখে তাকায় তোমার দিকে।
তাদের তাকানো দ্যাখে আমার খারাপ লাগে।
তুমি আর টিপ পরে বাহিরে যেওনা।
তুমি টিপ পরবা কোনো এক শ্রাবণের বিকালে
বাহিরে বৃষ্টি হবে, বেলকনিতে থাকবো শুধু তুমি আর আমি।
তোমার টিপে শুধু আমি আহত হতে চাই।
কাজল পরলে তোমার চোখ নদী হয়ে যায়
ছিপছিপে শীতল নদী।
এমন চোখ দ্যাখে স্নান করতে চায় সকল পথিক!
অথচ শুধু আমি সেই চোখে ডুবে থাকতে চাই।
তুমি আর কাজল পরে বাহিরে যেওনা।
তুমি কাজল পরবে কোনো এক আমাবস্যা রাতে
সেই রাতে মোমের আলোয় শুধু আমি তোমাকে দ্যাখবো।
শাড়ি পরলে তোমাকে দেবীর মতো লাগে।
শরীর বেয়ে সৌন্দর্য চুইয়ে চুইয়ে পড়ে।
যা দ্যাখে পুরুষেরা ভুলে যায় ধর্ম-কর্ম।
সবাই তোমার সৌন্দর্যে আনুগত্য করতে থাকে।
তাঁরা এক মুহূর্তেই তোমার ভিতরে চলে যায়।
তুমি আর শাড়ি পরে বাহিরে যেওনা।
আমার খারাপ লাগে।
তুমি শাড়ি পরবে পৃথিবী ঘুমিয়ে পড়লে
শুধু আমার জন্য।
নূপুর পরলে সব সৌন্দর্য তোমার পা’য়ে ভর করে।
সেই পায়ের ছুঁয়া পেতে সবাই ঘাস কিংবা শিশির হতে চায়।
অথচ সেই পায়ে স্পর্শের চুমু আঁকবো শুধু আমি।
তুমি আর নূপুর পরে বাহিরে যেওনা।
আমার খারাপ লাগে।
যেদিন আমি ঘাস কিংবা শিশির হবো
সেদিন তুমি নূপুর পরিও !
কবি:
রুবায়েত হোসেন অনতু