কুমিল্লা নগরীর যুবলীগ কর্মী জিল্লুর হত্যা মামলার প্রধান আসামি কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল হাসানকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। সোমবার (১৫ মার্চ) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আতাব উল্লাহ জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম সেলিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আদালত সুত্রে জানা যায়, যুবলীগকর্মী জিলানী হত্যা মামলার প্রধান আসামি কাউন্সিলর আবুল হাসান দীর্ঘদিন পলাতক ছিল। পরবর্তীতে উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামনে লাভ করে এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ১৫মার্চ সোমবার জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন নিতে চাইলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার প্রধান আসামি হাসানের বিষয়ে জিল্লু হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই কুমিল্লার পুলিশ পরিদর্শক বিপুল চন্দ্র দেবনাথের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলার তদন্তের স্বার্থে এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিজ্ঞ আদালতে রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হবে বলে নিশ্চিত করেন। মামলার অপর পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার বাদী ইমরান হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘এ মামলার প্রধান দুই আসামি কাউন্সিলর হাসান ও সাত্তার গ্রেফতার হলেও তাদের সহযোগী পলাতক আসামি ও তাদের লোকজন মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য হুমকি অব্যাহত রেখেছে। তিনি অবিলম্বে মামলার সব আসামিদের গ্রেফতার দাবি করেন।
উল্লেখ্য, চৌয়ারা বাজারে আধিপত্য ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারনে ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর সকালে সন্ত্রাসীরা যুবলীগ নেতা জিল্লুকে নগরীর চৌয়ারা পুরাতন বাজার এলাকায় উপর্যপুরি কুপিয়ে হত্যা করে। নিহত জিল্লুর ভা্ই ইমরান হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে ২৪ জনকে আসামি করে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় পিবিআইকে। পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা বিপুল দেবনাথ এ মামলার এজাহারভুক্ত দুই নাম্বার আসামি সাত্তারকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে ছিলেন।