এবার কমলালেবুর ভেতরে পাওয়া গেছে ইয়াবা। একেকটি কমলার মধ্যে অভিনব কায়দায় বহন করা হচ্ছিল ৫০ থেকে ২০০টি ইয়াবা। চালানটি কক্সবাজার থেকে ঢাকার পৌঁছানোর কথা ছিল। পুলিশ বলছে, তাদের চোখ ফাঁকি দিতে মাদক চোরাচালানে প্রতিনিয়ত কৌশল পাল্টেও পার পাচ্ছে না কারবারিরা।
শনিবার রাত ৮টা। রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় কার্টন হাতে এক ব্যক্তির গতিবিধি নজর রাখে গোয়েন্দা পুলিশ। এক পর্যায়ে তাকে চ্যালেঞ্জ করে পুলিশ। জানতে চাওয়া হয় কার্টনের মধ্যে কি আছে। এমন কথা জানতে চাওয়ায় বিব্রত বোধ করে সে। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তিকে জেরা করতে থাকেন পুলিশ সদস্যরা।
আগেই পুলিশের কাছে তথ্য ছিল কমলালেবুর আড়ালে ইয়াবা চোরাচালানের এমন তথ্য। ওই ব্যক্তির কাছে থাকা কার্টন থেকে কমলা লেবু জব্দ করা হয়। এরপর কমলালেবুর খোসা ছাড়ানোর পর বেরিয়ে আসে ইয়াবা। আকারভেদে একটি কমলালেবুর ভেতরে থেকে বেরিয়ে আসতে থাকে ৫০ থেকে ২০০টি ইয়াবা। ২৪টি কমলালেবুর ভেতর থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ২ হাজার ইয়াবা।
ইয়াবার এ চালানটি কক্সবাজার থেকে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল। ইয়াবা বহনকারীকে আটকের পর পুলিশকে জানিয়েছে তার এক চাচী নিয়ন্ত্রণ করে মাদক ব্যবসাটি। পুলিশ বলছে, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির পর থেকেই মাদক কারবারিরা প্রতিনিয়ত কৌশল পাল্টাচ্ছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ইয়াবা চোরাচালানের ক্ষেত্রে বেশি কৌশল পাল্টাচ্ছে তারা। ছোট একটা জিনিস বিভিন্নভাবে তারা লুকিয়ে আনার চেষ্টা করছে। পুলিশ তৎপর আছে। মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা হয়েছে এতে আমরা সার্বিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। তারা যেভাবে আনুক আমরা আমাদের গোয়েন্দা কার্যকম চালিয়ে যাবো। আমরা ঢাকা শহরকে মাদকমুক্ত রাখার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবো।
এ জাতীয় আরো খবর..