সিলেটের শাহপরাণ থানা এলাকায় মা ও ভাই-বোনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার আহবাব হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে কিশোর তার বয়স ১৭ বছর বলায় তাকে কারাগারে না পাঠিয়ে নিরাপত্তা হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।
সিলেট মহানগরীর শাহপরাণ থানা পুলিশের ওসি সৈয়দ আনিসুর রহমান জানান, শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন খানম নীলার আদালতে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আহবাব। জবানবন্দি দেওয়ার পর শনিবার রাতে পুলিশের কাছ থেকে কিশোরকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়া হয়।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১২টার দিকে সিলেট শহরতলীর খাদিমপাড়া ইউনিয়নের বহর এলাকার মীর মহল্লা গ্রামের ৯নং বাসায় আবদাল হোসেন খানের দ্বিতীয় স্ত্রী রুবিয়া বেগম চৌধুরী, মেয়ে জান্নাতুল হোসেন মাহি ও তাহসান হোসেন খানকে কুপিয়ে হত্যা করে তার সৎ ছেলে আহবাব হোসেন। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকেই আহবাবকে আটক করে। আহবাব হোসেন আবদাল হোসেনের প্রথম স্ত্রীর সন্তান।
পরে ২০ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টায় নিহত রুবিয়া বেগমের ভাই আনোয়ার হোসেন এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় বিয়ানীবাজার থানার আষ্টঘরী গ্রামের আবদাল হোসেনের প্রথম স্ত্রীর সন্তান আহবাব হোসেন ও তার প্রথম স্ত্রী সুলতানা বেগম রুমিকে (আহবাবের মা) আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে আনোয়ার হোসেন বলেন, বিভিন্ন সময় আমার বোন ফোন করে জানায় সৎ ছেলে আহবাব তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করত। তার এ কাজে সতিন সুলতানা বেগম রুমি প্ররোচনা দিতেন। চার মাস আগে আহবাব তার বাবাকে দোকানের কাজে সহযোগিতার জন্য সিলেটে আসে। ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে সে বাসায় ফিরে। রাত ১২টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় আমার বোন রুবিয়া বেগম, তার মেয়ে মেয়ে জান্নাতুল হোসেন মাহি ও তাহসান হোসেন খানকে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। তাদের মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে বিছানায় আগুন ধরিয়ে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এ সময় তাদের চিৎকারে আশপাশের মানুষ ছুটে এসে দরজা ভেঙে তাকে আটক করে। স্থানীয়রা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর আমার বোন ও ভাগনি মাহিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভাগনে তাহসানেরও মৃত্যু হয়।
এ জাতীয় আরো খবর..