বাংলাদেশসহ ১২ দেশকে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের জন্য ১৬০ কোটি ডলার অর্থায়ন করবে বিশ্বব্যাংক। আগামী মাসের মধ্যে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাটির পর্ষদে এ তহবিলের অনুমোদন দেওয়া হবে।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়ে আরও জানান, দরিদ্র দেশগুলো যাতে আরও বেশি ভ্যাকসিন পায়, সে লক্ষ্যে কাজ করছে তার সংস্থা। একই সঙ্গে সংস্থার এক হাজার দুইশ কোটি (১২ বিলিয়ন) ডলারের কর্মসূচির আওতায় ভ্যাকসিন কেনা ও উৎপাদকদের সঙ্গে যে চুক্তি করা হচ্ছে, সেটি আরও মান-উপযোগী করতে কাজ করা হবে।
বাংলাদেশ ছাড়া বাকি দেশগুলোর মধ্যে ফিলিপাইন, তিউনিশিয়া ও ইথিওপিয়া আছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে আরও ৩০ দেশের জন্য একই রকম তহবিল গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্বব্যাংক প্রধান। তিনি উৎপাদনকারী ওষুধ কোম্পানিগুলোকে টিকা কোথায় যাচ্ছে, সে বিষয়ে আরও স্বচ্ছ ও উন্মুক্ত থাকার আহ্বান জানান।
ডেভিড মালপাস বলেন, কেননা বিশ্বব্যাংক দরিদ্র দেশগুলো যাতে অধিক পরিমাণ টিকা পায়, সেজন্য জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে এসব দেশ ওষুধ উৎপাদক কোম্পানির সঙ্গে যে চুক্তি করেছে, সেগুলোর মান নিয়েও কাজ করছে বিশ্বব্যাংক। এ ছাড়া স্থানীয় সরকারগুলোর সঙ্গে বিতরণের সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টা শুরু করা হয়েছে।
বিশ্বব্যাংক প্রধান আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে আরও জানান, তাদের সহযোগী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) বর্তমান টিকা উৎপাদন ব্যবস্থাকে সম্প্রসারিত করতে কিংবা নতুন করে উৎপাদনে যেতে চারশ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত। মূলত উন্নত দেশগুলোতেই যাবে এ বিনিয়োগ। তিনি দরিদ্র দেশগুলোতে জি-সেভেন রাষ্ট্রগুলোর টিকা সরবরাহের প্রতিশ্রুতিকে স্বাগত জানান।
টিকা দেওয়া নিয়ে আওয়ার ওয়ার্ল্ডের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনার টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে ইসরায়েল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রতি ১০০ জনে ৮২ জন ভ্যাকসিন পেয়েছেন। অন্যদিকে, ভারত ও বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত প্রতি ১০০ জনে একজনেরও কম মানুষ ভ্যাকসিন পেয়েছেন। আফ্রিকার কিছু দেশে এখনও শুরু হয়নি।