চট্টগ্রাম নগরের ১৩ ইউনিটে নতুন আহ্বায়ক ও আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বাকলিয়া থানায় আহ্বায়ক হয়েছেন মিজানুর রহমান। এছাড়া ওই কমিটিতে ১২ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক ও ১৩ জনকে সদস্য করা হয়েছে। হাজী মুহাম্মদ মহসীন কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হয়েছেন কাজী নাঈম। এছাড়া ৬ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ৩২ জনকে সদস্য করা হয়।
হালিশহর থানা কমিটিতে আহ্বায়ক হয়েছেন আব্দুর রহিম জিসান এবং যুগ্ম আহ্বায়ক হয়েছেন মোহাইমিনুল হক চৌধুরী। বায়েজিদ থানা কমিটিতে আহ্বায়ক হয়েছেন সুলতান মাহমুদ ফয়সাল ও এক নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক হয়েছেন রুবেল খান।
এছাড়া এক বছরের জন্য অনুমোদিত কমিটির মধ্যে চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছেন জাহিদুল ইসলাম ইরাক ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন জিএম তৌসিফ। পাহাড়তলী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছেন মো. আশিকুর রহমান প্রিন্স ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ইয়াছিন আরাফাত আরমান।
১৭ নম্বর বাকলিয়া ওয়ার্ডে সভাপতি হয়েছেন রিয়াজ উদ্দিন কাদের ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সুহৃদ বড়ুয়া শুভ। ১৯ নম্বর বাকলিয়া ওয়ার্ডে সভাপতি হয়েছেন গোলামুর রহমান চৌধুরী রিজান ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মো. ইমতিয়াজ হোসেন রাহাত।
১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডে ছাত্রলীগের সভাপতি করা হয় সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক করা হয় মুজিবুর রহমান রাসেল। ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডে ছাত্রলীগের সভাপতি মাহফুজ আহমেদ ফাহিম ও সাধারণ সম্পাদক নাঈম উদ্দিন তৌসিফ।
১২ নম্বর সরাই পাড়া ওয়ার্ডে ছাত্রলীগের সভাপতি করা হয়েছে হান্নান খান ফয়সাল ও সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন ইমন। ২৫ নম্বর রামপুরা ওয়ার্ডে ছাত্রলীগের সভাপতি করা হয়েছে জাবেদ রহিম মুন ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন বাবু।
এদিকে কমিটি ঘোষণার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পদবঞ্চিত নেতা ও সাবেক ছাত্রলীগ বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা।
তাদের মধ্যে নবগঠিত কমিটির সমালোচনা করে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি লেখেন, ‘বিভিন্ন ওয়ার্ড থানাতে কমিটি দিয়েছে। শতাধিক ছাত্রলীগ কর্মী আজ পদে এসেছে। আনন্দের সংবাদ, ছোট ভাইদের অভিনন্দন। পাশাপাশি আমার সাথে থাকার কারণে ওয়ার্ড থানা থেকে গণহারে বাদ দেওয়ার জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি ইমরান আহমেদ ইমু ও জাকারিয়া দস্তগীরকে। আমাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ভয় পাও জানতাম, আমার কর্মী সমর্থকদেরও যে ভয় পাও আজ জানলাম। ধন্যবাদ।’
হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত এক নেতা বলেন, ‘আমি সবসময় মহসিন কলেজ শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলাম। তাদের যেকোনো প্রয়োজনে সময় দিয়েছি। মহসিন কলেজ শিবিরমুক্ত করতে নিজের রক্ত দিয়েছি। নগর ছাত্রলীগের নেতারা তার প্রতিদান আমাকে দেননি।’
তবে কমিটির বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরকে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি। সুত্র:জানি।