কক্সবাজারে জেলা ডিবি পুলিশের একটি চৌকস টিম বিশেষ অভিযান চালিয়ে চোফলদন্ডী এলাকা থেকে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা থেকে ১৪ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। এ সময় দুজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের স্বীকারক্তিতে ওই অভিযানের সূত্র ধরে সন্ধ্যায় আটক এক জনের বাড়ি থেকে দুটি বস্তায় নগদ ১ কোটি ৭০ লাখ ৬৮ হাজার ৫ শত টাকা উদ্ধার করা হয়। এসময় আটক করা হয় ২ জনকে।
পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান বলেন, ইয়াবার বড় এই চালানের সাথে একটি চক্র জড়িত। এই চক্রের দুইজনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। চক্রের অন্যান্য সদস্যদের ব্যাপারে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। যতদূর জানা যায় এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় ইয়াবা চালান ( ১৪ লক্ষ পিস) এটি।আটককৃত দুইজনের মধ্যে একজন ইঞ্জিন চালিত নৌকা হতে নদীতে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিল। ডিবি পুলিশের দুই জন সদস্য পাল্টা নদীতে লাফ দিয়ে সাঁতরে উলঙ্গ অবস্থায় উক্ত মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে। পুলিশ সুপার, কক্সবাজার পুরো অভিযানটি নিজেই পরিচালনা ও তদারকি করেন।
অভিযানের বিষয়ে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান জানান, ডিবি পুলিশের একটি টিম জেলের ছদ্মবেশ ধারন করে অভিযান শুরু করে। অভিযানে চৌফলদন্ডী ঘাটের কাছাকাছি সমুদ্রেপথে আসা একটি ট্রলার আটক করে । এ সময় ট্রলারে থাকা ৭ টি বস্তায় ১৪ লাখ ইয়াবা উদ্ধার ও আটক করা হয় ফারুক ও বাবুকে। ধৃত ২ জনের দেয়ার তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের অপর এক দল উত্তর নুনিয়ারছড়ায় আরোও একটি সফল অভিযান চালায়। অভিযানে ২ টি বস্তায় ১ কোটি ৭০ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকাসহ বিভিন্ন চুক্তিপত্র, ব্যাংকের চেক উদ্ধার করা হয়। এসময় ফারুকের শ্বশুর ও শ্যালককে আটক করা হয়।
পুলিশ সুপার এ চালানটি কক্সবাজারের সর্ববৃহৎ ইয়াবার চালান উল্লেখ করে বলেন, ফারুক ফিশিং ট্রলারের আড়ালে মাদকের ব্যবসায় জড়িত। ফারুকের মতো বেশ কিছু মাদক ব্যবসায়ীর সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। এরা শক্তিশালী সিন্ডিকেট গঠন করে নানা কৌশলে ইয়াবা কারবার চালাচ্ছে। পুলিশের গোয়েন্দা ইউনিট এ ব্যবসায়ীদের নজরদারিতে রেখেছে। এ রকম ৮০ জনের একটি তালিকা তৈরি করে পুলিশ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি। ইয়াবা ও টাকা উদ্ধার পৃথক ঘটনা। তাই পৃথক আইনে এ মামলা দায়ের করা হবে। এতে জড়িত আরও অনেকের নাম পাওয়া গেছে। যাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।