দেশে প্রতি বছর জরায়ু মুখ ও স্তন ক্যান্সারের শিকার হচ্ছেন ৩০ হাজার নারী। তাদের মধ্যে অর্ধেকের বেশিই মৃত্যু হচ্ছে এই দুটি ক্যান্সারে। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের আয়োজনে জরায়ু মুখ ও স্তন ক্যান্সার নিয়ে আয়োজিত সেমিনারে এসব তথ্য তুলে ধরেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রখ্যাত গাইনি রোগ বিশেষজ্ঞ ও প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. আশরাফুন্নেসা বলেন, দেশে প্রতি বছর ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ নারীদের স্ক্রিনিং এর আওতায় আনা হচ্ছে। এ সংখ্যা ১২ লাখ পর্যন্ত করলে আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা বেরিয়ে আসবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. সাবেরা খাতুন বলেন, নারীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন স্তন এবং জরায়ুর ক্যান্সারে। সচেতনতা সৃষ্টিতে প্রচার-প্রচারণামূলক কার্যক্রম বৃদ্ধি করা, স্ক্রিনিং কার্যক্রম আরো বিস্তৃত করা, প্রতিরোধমূলক ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমের উপর জোর দিলে এ দুটি রোগ প্রতিরোধে সহায়ক ভুমিকা হিসেবে কাজ করবে।
বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোল্লা ওবায়েদুল্লাহ বলেন, জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার দুটি ভিন্ন বিষয়। তাছাড়া কিছু বিষয় ছাড়া জরায়ু মুখের চিকিৎসার ধরণও স্তন ক্যান্সার চিকিৎসা থেকে প্রায় আলাদা। এ জন্য দুটিকে আলাদা করেই সবার সমন্বয়ে নির্মূল করতে হবে।
এছাড়া চিকিৎসকরা বলেন, জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিংএর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে নারীদের মৃত্যুহার অনেকাংশেই কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। তাই ঘাতক এই রোগ দুটি থেকে নারীদের বাঁচাতে শুরুতে ক্যান্সার নির্ণয় করতে গণসচেতনতার আহ্বান জানান তারা। সেমিনারের সহযোগী সংগঠন হিসেবে ছিল অবস্ট্রেটিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি), মেডিসিন ক্লাব, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)।