সম্প্রতি ফেসবুকে নবাব এলএলবি ছবির একটি ভিডিও খন্ডচিত্র ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যায় একজন ধর্ষিতা নারী থানায় এসে পুলিশের কাছে ধর্ষণের বিষয়ে অভিযোগকালে পুলিশ তাকে অত্যন্ত আপত্তিকর ইংগিত ও অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। যা সুস্থ বিনোদনের পরিপন্থি এবং জনসাধারণের মধ্যে পুলিশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করবে। এমন আপত্তিকর ও অশ্লীল সংলাপ সম্বলিত ভিডিও খন্ড চিত্র তৈরি ও অভিনয়ের জন্য দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা সাইবার এ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- ভিডিও মুভিটির প্রযোজক কাম পরিচালক অনন্য মামুন (৩৩) (নবাব এলএলবি ছবির পরিচালক) ও মোহাম্মদ শাহিন মৃধা (৪২) (পুলিশের এসআই চরিত্রে অভিনয়কারী অভিনেতা)। ২৫ ডিসেম্বর রাতে মিরপুর পাইকপাড়া ও সেকশন ৬ মিরপুর এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গোয়েন্দা সাইবার এ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম ডিএমপি নিউজকে জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেইজ O M G ツ যার url লিংক https://www.facebook.com /monpura.omg/ থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয় (যার লিংক https://www. facebook.com/ monpura.omg/videos/738535147023357) উক্ত লিংকে আপত্তিকর ও অশ্লীল সংলাপ সম্বলিত একটি ভিডিও খন্ডচিত্র দেখা যায়। যেখানে একজন ধর্ষিতা নারী থানায় এসে পুলিশের কাছে ধর্ষণের বিষয়ে অভিযোগ করলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রশ্নোত্তর সংক্রান্ত ভিডিও দেখা যায়। যেখানে ধর্ষণের বর্ণনা ও জিজ্ঞাসাবাদে অত্যন্ত আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। যা সুস্থ বিনোদনের পরিপন্থি হওয়ায় পরিবার পরিজনসহ একত্রে বসে দেখা সম্ভব নয় এবং জনসাধারণের মধ্যে পুলিশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করবে। এধরণের ভিডিও প্রকাশের ফলে ভবিষ্যতে নারী ভিকটিমগণ পুলিশের কাছে সেবা গ্রহণে থানায় যেতে নিরুৎসাহিত হবেন। উক্ত ভিডিও বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর জন্য অত্যন্ত মানহানিকর যা বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে জনসাধারণের সম্মুখে অত্যন্ত নেতিবাচক ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর অনুমতি ব্যতীত তারা পুলিশের পোশাক পরিধান করে পুলিশের চরিত্রে অশ্লীল সংলাপ ও নেতিবাচক অভিনয় সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করে জনসাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোসহ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে।
এ ঘটনায় রমনা মডেল থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।