সড়কের কাজে সিন্ডিকেট ভাঙতে দরপত্রপ্রক্রিয়ায় বেশিসংখ্যক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণের সুযোগ চায় সংসদীয় কমিটি। এ জন্য প্রচলিত আইন ও বিধিমালা শিথিল করতে সুপারিশ করেছে কমিটি।
শনিবার (২৭ মে) সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়। বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
সূত্র জানায়, এর আগেও একাধিক বৈঠকে আলোচনা হয়েছিল সড়কের কাজে নির্দিষ্ট কিছু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঘুরেফিরে কাজ পাচ্ছে। এখানে একধরনের সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। আজকের বৈঠকেও বিষয়টি আলোচনায় আসে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, দরপত্রে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু আইন ও বিধি মানতে হয়। এখানে অভিজ্ঞতার বিষয় আছে। তাই চাইলেও অনেক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে দরপত্রে অংশ নেওয়ার সুযোগ হয় না।
কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, যদি সব কাজে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়, তাহলে নতুন প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে কাজ পাবে? ঘুরেফিরে একই প্রতিষ্ঠানগুলোই সব কাজ পাবে। তাই সিন্ডিকেট ভাঙতে বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠানকে দরপত্রে অংশ গ্রহণের জন্য আইনও বিধি শিথিল করার সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তুষার কান্তি সাহার অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয় তদন্তে তিন সদস্যের একটি উপকমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্য আবু জাহিরকে উপকমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। এ ছাড়া এনামুল হক ও মো. ছলিম উদ্দীন তরফদারকে সদস্য করা হয়েছে। সংসদীয় কমিটির আগামী বৈঠকে উপকমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
সূত্র জানায়, তুষার কান্তি সাহা তথ্য গোপন করে এবং অনুমতি ছাড়া একাধিকবার ভারতে গিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে। এটি নিয়ে আগেও সংসদীয় কমিটি তদন্ত করার সুপারিশ করেছিল। মন্ত্রণালয় তদন্ত করে তেমন কিছু পায়নি। কিন্তু পরে তারা জানতে পারে, এই কর্মকর্তা দুটি পাসপোর্ট ব্যবহার করেছেন। তাই সংসদীয় কমিটি আবার বিষয়টি তদন্ত করতে এই কমিটি গঠন করে।
কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নানের সভাপতিত্বে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মো. আবু জাহির, রেজওয়ান আহাম্মদ, মো. ছলিম উদ্দীন তরফদার, সেখ সালাহউদ্দিন, রাবেয়া আলীম এবং মেরিনা জাহান বৈঠকে অংশ নেন।