কুমিল্লা মহানগরীর টিক্কারচরে আব্দুল কুদ্দুস হত্যাকান্ডের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত সোহাগ ও মামুন নামের ২ ঘাতককে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ। এ সময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া দুই আসামি কুমিল্লা সদরের ছত্রখিল বাগানবাড়ির মৃত. মালু মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া (৩১) ও সদরের শুভপুর গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে মামুন (৪২)
গত ২৪ মে রাত সোয়া ১০ টার সময় টিক্কারচর ব্রীজের দক্ষিণ পাশে আব্দুল কুদ্দুসকে(৩৫) ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। এ সময় সাগর নামের আরও এক যুবক আহত হয়।
পুলিশ সুত্র জানায়, গত ২৪ মে রাতে টিক্কারচর ব্রীজের দক্ষিণ পাশে আসামী সোহাগ মিয়া(৩১) ভিকটিম আ: কুদ্দুছের পেটের বামপাশে ছুরিকাঘাত করে এবং সে হাসপাতালে আনার পূর্বেই মৃত্যুবরণ করে। ঘটনার পর আসামী সোহাগ এবং আসামী মামুন পালিয়ে যায়।
নিহতের স্ত্রী রুমা আক্তার এজাহার নামীয় ২ জন এবং অজ্ঞাত নামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা নং-১০২, তাং-২৫/০৫/২০২৩।
কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপারের নির্দেশে কোতয়ালী থানা এবং ডিবি পুলিশের একাধিক টিম বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং প্রযুক্তির সহায়তায় গত ২৫ মে রাত সোয়া ১০ টায় জেলার দেবিদ্বার থানাধীন বারেরা নামক এলাকা হতে হত্যাকান্ডের মূল আসামী সোহাগ মিয়া ও ২নং আসামী মামুনকে গ্রেফতার করে।
আসামী সোহাগকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি আসামী সোহাগের বর্ণনামতে টিক্কারচর ঈদগাহ মাঠের উত্তর-পশ্চিম কোণে গোমতী নদীর পাড়ে ঝোপঝাড়ের ভিতর থেকে ২৬ মে রাত সাড়ে ৩ টার সময় উদ্ধার করা হয়।
আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নিহত ভিকটিম কুদ্দুস আনুমানিক দুইমাস পূর্বে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে আসামী সোহাগের নিকট হতে ১০ হাজার টাকা ধার নেয়। আসামী সোহাগ মিয়া এবং মামুন উক্ত পাওনা টাকা না পেয়ে ঘটনাস্থলে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে ভিকটিম কুদ্দুসকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। ১নং আসামী সোহাগ মিয়ার বিরুদ্ধে পূর্বের মাদক, মারামারির ৮টি মামলা এবং ২নং আসামী মামুনের বিরুদ্ধে পূর্বের হত্যা মামলা সহ ৩টি মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন।
কুমিল্লা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) খন্দকার আশফাকুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।