ট্রাইবেকারে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। শুক্রবার রাতে (১০ ডিসেম্বর) কাতারের লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে শেষ আটে নেদারল্যান্ডসকে টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে পা রেখেছে দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
তবে, এই ম্যাচে আলবেলেসেলেস্তেদের জয়ের পাশাপাশি আরেকটি বিষয় ফুটবল ভক্তদের আলোচনায় স্থান করে নিয়েছে। সেটি হলো, আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস ম্যাচে রেফারির দেখানো হলুদ কার্ড।
এই ম্যাচে মোট ১৮টি হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন স্প্যানিশ রেফারি অ্যান্টোনিও মাতেউ লাহোজ। যা বিশ্বকাপের এক ম্যাচে সর্বোচ্চ।
অনেকের মতে, এই ম্যাচে আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডস খেলোয়াড় যতটা না হলুদ কার্ড পাওয়ার মতো কাজ করেছেন, রেফারি তার চেয়ে বেশিই হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন।
খেলায় রেফারি মোট ১৬টি হলুদ কার্ড দেখান ফুটবলারদের। আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা পান ৮টি এবং নেদারল্যান্ডসের ফুটবলাররা পান ৮টি হলুদ কার্ড। এছাড়া, ম্যাচ চলাকালে আর্জেন্টাইন কোচিং স্টাফের ওয়াল্টার সামুয়েল এবং কোচ স্কালোনিকে হলুদ কার্ড দেখান তিনি। হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন রিজার্ভ বেঞ্চের খেলোয়াড়দেরও। এ ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখেছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসিও।
মূল ম্যাচের পাশাপাশি টাইব্রেকারের সময়ও হলুদ কার্ড দিতে বেশ আগ্রহী ছিলেন তিনি। পেনাল্টি শুটআউটের সময় নেদারল্যান্ডসের ডামফ্রিসকে ম্যাচের দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখান। এ সময় নোয়া ল্যাংও হলুদ কার্ড দেখেন।
নেদারল্যান্ডস-আর্জেন্টিনা ম্যাচের প্রথম থেকেই ফাউলের বাঁশি বাজিয়ে গিয়েছেন মাতেউ। পুরো ম্যাচে ৪৮ বার ফাউলের জন্য বাঁশি বাজিয়েছেন তিনি।
২০০৬ বিশ্বকাপে পর্তুগাল ও নেদারল্যান্ডস ম্যাচে রেফারি ১৬টি হলুদ কার্ড দেখিয়েছিলেন। যা এতদিন রেকর্ড হিসেবে ছিল।
২০১০ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংলিশ রেফারি হাওয়ার্ড ওয়েব ১৪টি হলুদ কার্ড দেখিয়েছিলেন। বিশ্বকাপের নকআউট পর্বের ম্যাচে যা ছিল রেকর্ড।
তবে, কাতারের লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে সেসব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড লেখালেন অ্যান্টোনিও মাতেউ লাহোজ।