চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে একটি আপেলের কনটেইনার তল্লাশি করে ২২ লাখ ১৯ হাজার শলাকা বিদেশি সিগারেট জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) কাস্টমস সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের স্টেশন রোডের মারহাবা ফ্রেস ফ্রুটস নামে একটি প্রতিষ্ঠান সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এক কনটেইনার আপেল আমদানি করে।
চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসলে খালাসের জন্য আমদানিকারকের মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট জিম এন্টারপ্রাইজ ২০ ডিসেম্বর বিল অব অ্যান্ট্রি দাখিল করে।
এর আগে ৬ ডিসেম্বর চালানটি আমদানির জন্য ডাচ বাংলা ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখা থেলে এলসি ইস্যু করা হয়। কিন্তু গোপন তথ্য থাকায় ২০ ডিসেম্বর কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্স (এআইআর) টিম জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে পণ্য চালানের বিল লক করে দেয়, যাতে কেউ খালাস নিতে না পারে।
এরপর বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বন্দর ইয়ার্ডে চালানটির শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে এআইআর টিম। এতে দেখা যায়, কনটেইনারে থাকা মোট এক হাজার ১২০টি কার্টনের মধ্যে ৭৫৪টিতে আপেলের নিচে লুকানো ২২ লাখ ১৯ হাজার শলাকা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিদেশি সিগারেট জব্দ করা হয়। বাকি ৩৬৬ কার্টনে শুধু আপেল পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন রিজভী বলেন, জব্দ করা এসব সিগারেটের আনুমানিক বাজারমূল্য এক কোটি ৩৭ লাখ টাকা। গোপনে চালানটি খালাসের মাধ্যমে প্রায় পাঁচ কোটি ৩০ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করেছিল একটি চক্র। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর কাগজের একটি কনটেইনার থেকে তিন কোটি ১৯ লাখ ৮০ হাজার পিস নিম্নস্তরের ১০ শলাকার সিগারেটের প্যাকেটে ব্যবহারের উপযোগী হালকা খয়েরি রঙের জাল স্ট্যাম্প জব্দ করে কাস্টমস কর্মকর্তারা। চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বাপ্পু এন্টারপ্রাইজ চীন থেকে কাগজের ঘোষণায় চালানটি আমদানি করেছিল।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) কাগজের আরেকটি কনটেইনার থেকে এক কোটি ৬২ লাখ সিগারেটের প্যাকেটে ব্যবহারের উপযোগী হালকা সবুজ ও খয়েরি রঙের জাল স্ট্যাম্প পাওয়া যায়। চট্টগ্রামের জুবলী রোডের ‘আরাফাত এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান চীন থেকে চালানটি আমদানি করছিল। জানি