কাবুল বিমানবন্দর দিয়ে শিগগিরই যাতে যাত্রীবাহী বিমান চলাচল শুরু করা যায়, তা নিয়ে তারা কাজ করছে কাতার ও তুরস্ক। এ কথা জানিয়েছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মঙ্গলবার বলেছেন। তবে কিভাবে বিমানবন্দর পরিচালনা করা হবে তা নিয়ে আফগানিস্তানের নতুন তালেবান শাসকদের সাথে এখনো তারা মতৈক্যে পৌঁছাতে পারেননি।
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি বলেন, বিমানবন্দরে দুই দেশেরই প্রযুক্তিগত দল রয়েছে। এক সপ্তাহ আগে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহার করে নেয়ার পর কাতার প্রতিদিন মানবিক সাহায্যর্থে চার্টার করা বিমানের ফ্লাইট চালু রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সাথে দোহায় এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে শেখ মোহাম্মদ বলেন, আমরা আশা করি যে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আমরা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছাতে পারব যখন বিমানবন্দরটি চালু হয়ে যাবে এবং যাত্রী ও মানবিক সহায়তার জন্যও বিমান চালু হবে।
তুরস্ক জানিয়েছে, বেসামরিক বিমান চলাচল পুনরায় শুরু করার আগে বিমানবন্দরের রানওয়ে, টাওয়ার ও টার্মিনালের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা মেরামত করা দরকার। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভল্যুট ক্যাভ্যুসগলু মঙ্গলবার বলেন, বিমানবন্দরে ভাংচুর হয়েছে। এগুলো মেরামত দরকার। তুরস্ক বলছে যে তারা বিমানবন্দরের ভিতরে মোতায়েন যেকোনো তুর্কি দলকে রক্ষা করার জন্য বিমানবন্দরের ভিতরে নিরাপত্তা প্রদান করতে চায় এবং নিরাপদেও যেন কাজ করা যায়। কিন্তু তালেবান জোর দিয়ে বলেছে যে বিমানবন্দরে কোনো বিদেশী বাহিনী উপস্থিত থাকতে পারে না।
ক্যাভ্যুসগলু পরামর্শ দিয়েছিলেন যে কাজটি একটি বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থাকে দেয়া যেতে পারে। আর ভবিষ্যতে যদি আফগানিস্তানে সবকিছু আবার নিয়মমাফিক চলতে শুরু করে এবং নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ না থাকে, তাহলে আফগান বাহিনী নিরাপত্তার কাজ করতে পারে।সুত্র: ভয়েস অব আমেরিকা।