রাজধানীর কদমতলী থানা এলাকা হতে অপহৃত ৩ বছরের শিশু মোঃ ওমর ফারুককে উদ্ধারসহ অপহরণের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর কদমতলী থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো মোঃ আলীম, সজীব চন্দ্র দাস, শ্যামা মনি দাস, বাবুল সরকার ও মিনুকা রানী।.শুক্রবার (১৩ আগস্ট) ধারাবাহিক অভিযানে মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর থানা এলাকা থেকে ভিকটিম ফারুককে উদ্ধার করা হয়।
কদমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ জামাল উদ্দিন মীর, পিপিএম নাগরিক খবরকে জানান, গত ৫ আগস্ট, ২০২১ তারিখ মোঃ মেহেদী হাসান থানায় এসে অভিযোগ করেন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার ছেলে মোঃ ওমর ফারুককে কদমতলী থানার শ্যামপুর, শহীদ মোক্তার হোসেন রোডের বাসা হতে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ সংক্রান্তে কদমতলী থানায় একটি অপহরণ মামলা রুজু হয়।
তিনি বলেন, মামলাটি তদন্ত শুরু করে থানা পুলিশ। ঘটনাস্থল ও আশপাশ এলাকার রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনসহ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় কদমতলী থানার জুরাইন রেলগেইট হতে শুক্রবার (১৩ আগস্ট) আলীমকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্যমতে ঢাকা জেলার ধামরাই থানার নান্না সোয়াপুর এলাকা হতে সজীব চন্দ্র দাস ও শ্যামা মনি দাসকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্যমতে মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর থানার উত্তর শ্রী বাড়ী হতে বাবুল সরকার ও মিনুকা রানীর হেফাজত হতে ভিকটিম শিশু মোঃ ওমর ফারুককে উদ্ধারসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
পরবর্তীতে ভিকটিমকে তার বাবা-মার কাছে ফেরত দেয়া হয়। হারানো শিশুকে ফিরে পেয়ে ভিকটিমের বাবা-মা অত্যন্ত খুশি হন এবং পুলিশের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
শ্যামপুর জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কাজী রোমানা নাসরিন, শ্যামপুর জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার শাহ আলম, কদমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ জামাল উদ্দিন মীর, পিপিএম, কদমতলী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সজীব দে, কদমতলী থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) জাকির হোসাইন, পিপিএম ও তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ইমরুল হাসানের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই অভিযান পরিচালিত হয়।