পশ্চিম তীরে মঙ্গলবার ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় আরও ৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গত সপ্তাহে শুরু হওয়া রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত পশ্চিম তীরে ২৪ ফিলিস্তিনি নিহত হন। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা এ খবর দিয়েছে। মঙ্গলবার বুকে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই মারা যান দুইজন। বাকি দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার পর মারা যান। ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, জেরুজালেম এবং পশ্চিম তীরে তারা ১৫০ আহত মানুষকে চিকিৎসা দিয়েছে। আহতদের মধ্যে ৩৫ জন গুলিবিদ্ধ এবং ৮০ জন কাঁদানে গ্যাসে আহত ছিল। ১০ মে শুরু হওয়া ইসরাইল- ফিলিস্তিন সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ মে) রাতেও চলে দফায় দফায় বিমান হামলা। ইহুদি বর্বরতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১৭ জনে দাঁড়িয়েছে। যার মধ্যে শিশুই ৬৩ জন। এদিকে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বোমা হামলা অব্যাহত থাকার পাশাপাশি জেরুসালেমের পবিত্র স্থানগুলোতে সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে। ইসরাইল ও অধিকৃত এলাকাগুলোতেও সহিংস সংঘাত চলছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের যুদ্ধবিরতি আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছেন। জেরুসালেমের ওল্ড সিটির বিভিন্ন স্থানে ফিলিস্তিনিরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। জেরুসালেমে ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান আল-আকসা মসজিদের আধা মাইলের মধ্যেও এই বিক্ষোভ হয়। পশ্চিম তীরের হেবরন নগরীতেও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় রাস্তায় জ্বলন্ত ব্যারিকেড স্থাপন করে, অফিসারদের লক্ষ্য করে প্রজেক্টাইল নিক্ষেপের জন্য সিøঙশট ব্যবহার করে। মঙ্গলবার ইসরাইলি অধিকৃত পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিরা ও ইসরাইলের ২১ ভাগ আরব সংখ্যালঘু গাজার প্রতি সংহতি প্রকাশের জন্য সাধারণ ধর্মঘট পালন করার প্রেক্ষাপটে এসব সংঘর্ষ হয়। গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় গাজায় ২১৮ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় ১০০ জনই নারী ও শিশু। হামাসও ইসরালি হামলার জবাব দিয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার হামাস ৭০টি রকেট নিক্ষেপ করে।এগুলোর বেশির ভাগই আয়রন ডোমে ভূপাতিত হয়। গাজার রকেটে মঙ্গলবার দক্ষিণ ইসরাইলে একটি কারখানায় আঘাত হানলে অন্তত দুজন নিহত হয়। এছাড়া আহত হয় আরো কয়েকজন। ডেইলি মেইল, আল-জাজিরা।