চীনের উইঘুর সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের অভিযোগে শিনজিয়ান প্রদেশের পণ্য বয়কটের জেরে পশ্চিমা বিশ্বগুলোর সঙ্গে বেইজিংয়ের দ্বন্দ্ব তুঙ্গে। সোমবার (২৯ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে পশ্চিমাদের অভিযোগ তীব্র ভাবে প্রত্যাখ্যান করে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পাল্টা পশ্চিমাদের পণ্য বয়কটের হুমকি দিয়েছেন চীনারা।
সম্প্রতি উইঘুরদের অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগে চীনের শিনজিয়ান প্রদেশে উৎপাদিত তুলা আমাদনি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় সুইডিশ রিটেইল ব্র্যান্ড ইউচএন্ডএম, নাইকি, অ্যাডিডাসের মতো বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো। এর জেরে এবার পাল্টা পশ্চিমা পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে বেইজিং।
সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আলিবাবাসহ কয়েকটি বড় বড় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ও তাদের ওয়েবসাইট থেকে এরইমধ্যে পশ্চিমা পণ্য সরিয়ে ফেলেছে।
এক চীনা নাগরিক বলেন, ‘আমি দেশকে ভালোবাসি। যদি পশ্চিমারা আমাদের পণ্য না কেনে। তবে আমরাও তাদের পণ্য কিনব না। এতে করে আমাদের চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে তারাই।
আরেক চীনা নাগরিক বলেন, ‘তারা চীনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে তা যদি প্রমাণ করতে পারে তাহলে আবার হয়তো স্বাভাবিক কেনাকাটা করবো। কিন্তু তার আগ পর্যন্ত বিদেশি সব পণ্য এড়িয়ে চলারই চেষ্টা করবো।’
একই দিন সংবাদ সম্মেলন করে পশ্চিমাদের আনা অভিযোগকে মিথ্যা আর ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন চীনা কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, কোনো প্রমাণ ছাড়াই পশ্চিমারা এ ধরণের অভিযোগ তুলে বেইজিংয়ের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে।
এক চীনা কর্মকর্তা বলেন, ‘যারা অভিযোগ তুলছে তাদের কাছে নিজেদের কথার সপক্ষে কোনো প্রমাণই নেই। আর সত্য না জেনে প্রতিষ্ঠানগুলোও কেন পণ্য বয়কট করবে। যারা গুজব ছড়াচ্ছে তারা অসৎ উদ্দেশে এ কাজ করছে। তারা চীনের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়।
এদিকে, অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে শিনজিয়ান প্রদেশ পরিদর্শনে যেতে যায় জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল। এর জন্য দেশটির কাছে অবাধ প্রবেশাধিকার চেয়েছে সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
এ জাতীয় আরো খবর..