একজন যাত্রী ট্রেনের এসি কামরায় একাকী গন্তব্যে যাচ্ছিলেন। কিছুক্ষণ পরে একটি স্টেশন থেকে এক সুন্দরী স্মার্ট তরুণী ট্রেণে ওঠে। তারপর এসি কামরায় প্রবেশ করে ওই যাত্রীর বিপরীতে পাশে বসে পড়লেন। সুন্দরী তরুণীকে দেখে পুরুষ যাত্রী তো মহাখুশি। দীর্ঘ যাত্রায় এরকম একজন সঙ্গী পেতে কার না ভাল লাগে। আর সে যদি হয় কোন সুন্দরী, তবে তো আর কথায় নেই!
সুন্দরী এবার পুরুষের দিকে তাকিয়ে একটা মিষ্টি হাসি দিলেন আর পুরুষের মনে হল তিনি একটি হার্টবিট মিস করলেন। কিছুসময় পরে সুন্দরীটি অপর পাশ থেকে উঠে এসে একেবারে তার পাশে গা ঘেষে বসলেন। আর এদিকে খুশিতে পুরুষ যাত্রীর তো হার্ট এটাক হওয়ার দশা!
সুন্দরী এবার তার কানের কাছে মুখ নিয়ে আস্তে আস্তে বললো -“তোমার মানিব্যাগ, মোবাইল,টাকা পয়সা যা কিছু আছে সব আমাকে দিয়ে দাও। না হলে আমি এখন ডেকে লোক জড়ো করবো ! সবাই তোমাকে গণধোলাই দেবে !
পুরুষ যাত্রী এমন ভাব দেখালেন যেন তিনি কিছুই শুনতে পাননি। তিনি হাত দিয়ে ইশারায় বোঝাতে চাইলেন, তিনি বধির, তাই কানে শুনতে পান না।
“যদি কিছু বলতে চান, তবে তা এই কাগজে লিখে দিন।” এই কথা ইশারার মাধ্যমে বোঝালেন। অত:পর পকেট থেকে তিনি এক টুকরো কাগজ বের করে দিলেন।
সুন্দরী এবার কাগজের উপর আগের কথাগুলো লিখলেন। পুরুষ যাত্রী এবার কাগজটি নিয়ে পকেটে রেখে দিলেন এবং হাসতে হাসতে বললেন -” এবার তুমি চিৎকার করতে হবে না বরং আমি চিৎকার করে পুলিশ ডাকব। ছিনতাইয়ের দায়ে তোমাকে ধরিয়ে দেবো।”
কিছু সময় প্রমাণ হাতে রাখা খুবই জরুরী।
লেখক: রুবায়েত হোসেন অনতু।