চট্টগ্রামে অস্ত্র ঠেকিয়ে মোবাইল ফোন ছিনতাই আবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিভ্রান্ত করতে সেই মোবাইল সেট এবং সিম ব্যবহার করা হয় অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ে। এভাবেই নানা অপকর্ম করে যাচ্ছিল আরমান এবং রোকন নামে যমজ দুই ভাই। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। এক মাদ্রাসাশিক্ষার্থীকে ৮ দিন আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায় করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছে তারা।
অপহরণের ৯ দিন পর জিম্মি দশা থেকে মুক্তি পেয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে বসে আছে ১৩ বছর বয়সী ইকবাল। সে আর বাবাকে ছেড়ে যেতে চায় না। ৬ মার্চ দুপুরে বাড়ি যাওয়ার পথে নগরীর শাহ আমানত ব্রিজ এলাকায় অপহরণকারীদের কবলে পড়ে মাদ্রাসাছাত্র ইকবাল হোসেন। এরপর তাকে জিম্মি করে বিকাশের মাধ্যমে দফায় দফায় টাকা আদায় করতে থাকে অজ্ঞাতনামা অপহরণকারীরা বলে সময় সংবাদকে জানান অপহৃত শিশুর বাবা নুরুল হক।
শেষ পর্যন্ত অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযানে নামে বাকলিয়া থানা পুলিশ। দু’দিনের ব্যবধানে আরমান এবং রোকন নামে দুই যমজ ভাইকে আটকের পর বের হয়ে আসে রহস্য। উদ্ধার করা হয় শিশু ইকবালকে বলে জানান সিএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার রাইসুল ইসলাম।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, ছিনতাইকৃত মোবাইল এবং সিম অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের কাজে ব্যবহার করত যমজ দুই ভাই। যে কারণে তাদের শনাক্তে চরম বেগ পেতে হয় পুলিশকে। গ্রেফতার হওয়া যমজ দু’ভাই আরমান ও রোকনের বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি। এর আগেও তারা পুলিশের হাতে তারা গ্রেফতার হয়েছিল।
এ জাতীয় আরো খবর..